সারাদেশের মত রাজধানীতেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫ শতাধিক শিশু।
হঠাৎ আবার কুয়াশাচ্ছন্ন বাতাসে শীতের তীব্রতা। যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাড়কাঁপানো শীতের আঁচ পেতে শুরু করেছে রাজধানীবাসী।
বরাবরের মতই নাজুক হয়ে পড়া শিশুদের ভিড় বেড়েছে হাসপাতালে। ডায়রিয়া, ব্রংকিওলাইটিজ এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা। চাপ বাড়ায় শয্যা এবং আইসিইউ সঙ্কট ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আসা কয়েক শিশুর মা জানান, ঠান্ডা-জ্বর ও শ্বাস নিতে সমস্যার কারণে তারা শিশুদের নিয়ে এসেছেন।
ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছে ১২৫ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু। এছাড়াও প্রতিদিন বহির্বিভাগে সেবা নিচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ শিশু বলে হাসপাতাল সূত্রে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, আমরা প্রত্যেক মায়েদের শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য উৎস দিয়ে থাকি। সব সময় মায়ের সঙ্গে থাকাও, গরম কাপড় পরিয়ে রাখার কথাও বলা হয়। এ সময়ে শিশুদের খাবার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা কথা বলা হয়।
রোগতত্ত্ববিদ কিংকর ঘোষ বলেন, বার বার মাস্ক ব্যবহার করতে বলার একটাই কারণ বাইরের দূষণ থেকে রক্ষা করার জন্য। মাস্ক ব্যবহার করলে একসঙ্গে করোনা ও বাইরের দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
এদিকে মঙ্গলবার থেকে শীতের তীব্রতা কমতে থাকলেও ২২ তারিখ থেকে আবারও বাড়ার আশঙ্কা আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কাউছার পারভীন বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের শীতের প্রকোপটা কমবে। রাত দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। শৈত্যপ্রবাহ পড়ার আপাতত সম্ভবনা নেই। আগামী পরশু থেকে বাংলাদেশের কয়েক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।