শৈত্যপ্রবাহ কেটে কুয়াশা ও হিম বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গরম কাপড়ের অভাব ভোগাচ্ছে হতদরিদ্র মানুষকে। তাপমাত্রা বাড়লেও পুরো ফেব্রুয়ারিতে তীব্র শীত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শিশিরভেজা কুয়াশার মধ্যেও কাজের সন্ধানে ছুটেছেন নগরীর ভদ্রা বস্তির আব্দুস সালাম। শীতের তীব্রতা মুষড়ে দিয়েছে তাকে। তিনি বলেন, অনেক শীত। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। গরমের কাপড়ও নেই।
তার মতো, নগরীর পথঘাট, রেল-বাস স্টেশনসহ নদীপাড়ের হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের একই অবস্থা। কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাস দুর্ভোগে ফেলেছে তাদের। দৈনন্দিন কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। তাতে দিশেহারা খেটেখাওয়া মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে একটু উষ্ণতার খোঁজে ব্যাকুল তারা।
শ্রমিক নাসির উদ্দিন বলেন, শীতের কারণে কাজে যাওয়া যাচ্ছে না। এতে অনাহারে থাকা লাগছে।
আর ডায়রিয়া, শ্বর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক শিশু বিভাগ ডা. ফজলুর রহমান শিমুল বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বেশির ভাগই ডায়রিয়া আক্রান্ত। এবং অনেকের ঠান্ডা ও কাশি রয়েছে।
জানুয়ারিতে তাপমাত্রা বাড়লেও বৃষ্টি ও কুয়াশা শীতের তীব্রতা বাড়াবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দু-একদিন পর শীতের তীব্রতা কমে যাবে। পরে আবার বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।