আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে হাটবাজারে শীতকালীনসহ সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রকার ভেদে কেজিতে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। তবে এ অবস্থায় উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
শীত উপেক্ষা করেই ভোর থেকে জেলার পাঁচ উপজেলাসহ বিভিন্ন প্রান্তের কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে আসেন ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দনগর সমবায় মার্কেট পাইকারি বাজারে। সারিবদ্ধভাবে সবজি সাজিয়ে হাঁকডাকে চলে বেচাকেনা। মিলছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, শিমসহ নানা ধরনের সবজি।
এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় জেলার প্রান্তিক চাষিদের সবজি উৎপাদনও হয়েছে বেশি। ফলে সবজির সরবরাহ বাড়ায়, দাম ক্রয়ক্ষমতার নাগলে রয়েছে। প্রকার ভেদে প্রতি কেজি সবজিতে কমেছে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত। এতে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা খুশি হলেও উৎপাদনের খরচ তুলতে না পেরে হতাশ কৃষক।
মো. জমির উদ্দিন নামে এক কৃষক জানান, আমাদের ফলন ভালো হয়েছে। সে হিসেবে আমরা দাম পাচ্ছি না। যদি আমরা খরচই তুলতে না পারি তাহলে চাষ করব কীভাবে।
প্রতি কেজি নতুন আলু প্রকার ভেদে ৯ থেকে ১৩ টাকা, শিম ১২ টাকা, বেগুন ৮-১০ টাকা, স্কোয়াশ-১৫ টাকা, গাজর ১৮ টাকা, টমেটো ১২, মুলা ৩ টাকা, ধনেপাতা ১২, ফুলকপি প্রতিটি ৪-৫ টাকা। লাউ প্রতিটি ৭ থেকে ৮ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৫-৬ টাকা। আর অন্যান্য শাকসবজি প্রকার ভেদে ২ থেকে ৭ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার সবজি কেনাবেচা হয়।