মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মাসের পর মাস ঘুরেও পাসপোর্ট পাচ্ছেন না প্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ, দালালচক্রের সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না তারা। এই অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে প্রিন্টিং কাগজ সংকটের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আর পুলিশ বলছে, দালাল চক্রকে ধরতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
গত বছরের ১২ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসেন কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ভাউতলী গ্রামের দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সোহেল বেপারি। ৬ হাজার ৯শ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পাশাপাশি দালাল চক্রকেও দিয়েছেন বাড়তি অর্থ। নিয়ম অনুযায়ী গত ২৩ নভেম্বর পাসপোর্ট হাতে পাবার কথা থাকলে একাধিকবার অফিসে এসে তিনি ফিরেছেন খালি হাতে।
ভুক্তভোগী সোহেল বেপারি জানান, টাকা দেওয়ার পর দু মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু হাতে পাসপোর্ট পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত পাঁচ পাসপোর্ট অফিসে এসেছি, তার বলতে পারছে না পাসপোর্ট কবে পাবো? তবে দালালকে পাঁচ হাজার টাকা দিলে, দুদিনের মধ্যে পাসপোর্ট এনে দেওয়ার কথা বলছে।
শুধু সোহেল বেপারি নন। তার মত শত শত মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসে। সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, দালালচক্রের সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না তারা। এ জন্য পাসপোর্ট পেতে ঘুরতে হচ্ছে মাসের পর মাস। দীর্ঘদিনেও পাসপোর্ট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।
তবে মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপ-সহকারী পরিচালক মো. রোস্তম আলীর দাবি, পাসপোর্টের প্রধান কার্যালয়ে প্রিন্টিং জটিলতায় পাসপোর্ট আসতে দেরি হলেও জেলার আঞ্চলিক অফিসে কোন সমস্যা নেই।
পুলিশ বলছে, পাসপোর্ট অফিসে দালালচক্রের খবর পেলে নেয়া হয় আইনগত ব্যবস্থা।
মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের প্রায় ৫ হাজার পাসপোর্ট ঢাকায় আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে এমআরপি পাসপোর্টের সংখ্যাই বেশি।