ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শিশু সানজিদা (৭) হত্যা রহস্য উদঘাটন ও প্রধান অভিযুক্তসহ দুজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটককৃতরা হলেন-রামচন্দ্রপুর এলাকার আবুল হাসিম আকন্দের ছেলে ইয়াছিন আকন্দ (১৬) ও তারাকান্দা বাজারের বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমার সিংহ।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৪'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৪। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই দিন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একই বাড়ির আবুল হাশিমের ছেলে ইয়াছিনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরে ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে হত্যার ঘটনা। গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে সুপারি কুড়ানোর নাম করে সানজিদাকে তার বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় ইয়াছিন ও একই এলাকার আরেক কিশোর শাকিল। একটু পরই বাড়ি যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে তারা দুজন শিশুটির গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাসরোধে মারা যায় সানজিদা। মৃত্যুর পর সেখানেই ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
জানা গেছে, ওইদিন রাতে ঘরের বারান্দায় একটি চিরকুট ফেলে রাখে তারা। সেখানে একটি নাম্বার উল্লেখ করে লেখা ছিল- আপনার মেয়েকে বাঁচাতে চাইলে এই নাম্বারে কল করুন। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া গেলেও পরদিন একটি বিকাশ এজেন্টের নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তাদের ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।
র্যাব-১৪ অধিনায়ক জানান, মূলত টাকার জন্যই ইয়াছিন ও শাকিল মিলে শিশুটিকে অপহরণ করে। কিন্তু কান্নাকাটি করায় অপহরণের পরপরই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে ইয়াছিনকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আরেক ঘাতক শাকিলকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গত ১২ জানুয়ারি সকালে বাড়ির পাশ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা নিখোঁজ হয়। পরে গত ১৫ জানুয়ারি বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে সানজিদার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।