যুব দলের সতীর্থরা এরইমধ্যে সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। তবে এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। বরং এখনো নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে পারেননি বলেই সুযোগ হয়নি। এমন মন্তব্য করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়। নিজের ব্যাটিংয়ের আরো উন্নতি করতে চান। সে জন্য বিসিবির এইচপি ক্যাম্পকে দেখছেন বেশ গুরুত্ব দিয়ে।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে প্রতিভার ঝলক দেখিয়েও ঝরে পড়া ক্রিকেটারের সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব যার অন্যতম কারণ। তবে গত বছর যুব বিশ্বকাপজয়ী দলটাকে নিয়ে বিসিবির আছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
যার প্রতিফলন দেখা গেছে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে। যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ১২ ক্রিকেটার ছিলেন সেই দলে। জাতীয় দলের রাডারেও আছেন অনেকে। পারভেজ ইমন-শরিফুলরা এইচপি হয়েই জাতীয় দলের পথে এসেছেন। এইচপিতে তাদের সঙ্গে ছিলেন তৌহিদ হৃদয়ও।
প্রেসিডেন্টস কাপের পর বঙ্গবন্ধু টি-২০’তে ছিল তার গড়পড়তা পারফরম্যান্স। যুব দলে তার সতীর্থরা এখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানোর অপেক্ষায়। তবে হৃদয় যেন পথহারা। যদিও এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। বরং নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তৌহিদ হৃদয় বলেন, এখনো ন্যাশনাল টিমে খেলার মতো ক্রিকেটার হইনি। আমার এখনো স্কিলসহ অনেক কিছু ডেভেলপ করার জায়গা আছে। যদি কখন স্কিল ভালো করতে পারি তখন জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করবো। আমি কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান হতে চাই। উন্নতি করার জায়গা আছে। স্বপ্ন আছে জাতীয় দলে খেলার।
গেলো ক'বছর ধরেই এইচপি ইউনিটের কার্যক্রমে জোর দিয়েছে বিসিবি। আগামী মাসে আবার শুরু হবে এইচপি ইউনিট। আছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজও। তাই হৃদয়ের পূর্ণ মনযোগ এখন ক্যাম্প আর সিরিজ নিয়ে।
তিনি বলেন, এইচপি ক্যাম্পে ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে ডেভেলপ করার বড় জায়গা। এরকম সুযোগ সব সময় আসে না। যখন যে সুযোগ পাবো সেটা কাজে লাগাবো। নিজেকে কিভাবে ভালো করা যায় সেটাই ভাবছি। সামনে আয়ারল্যান্ড সিরিজ। সেটাতে ভালো করতে চাই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের চূড়ান্ত স্কোয়াডে আছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। যুব দলের সতীর্থকে জানিয়েছেন শুভকামনাও।
তৌহিদ হৃদয় বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য বড় অর্জন। এই দল থেকে ন্যাশনাল টিমে ডাক পেয়েছে। তাদের জন্য শুভকামনা।