দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমানায় যাই হোক না কেন, পাকিস্তানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ভারতীয় খাবার’। এমনটাই দাবি ইংল্যান্ডের এক গবেষণা সংস্থার।
গত বছরের একটা বড় সময় পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশই লকডাউনে কাটিয়েছে। সেই সময় বাড়িতে খাবারের অর্ডার দেওয়ার হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০২০ সালের ‘টেকঅ্যাওয়ে’ বা বাড়িতে আনা খাবারের তালিকায় কোন খাবার কী অবস্থায় রয়েছে, তার উপর সমীক্ষা চালিয়েছে ইংল্যান্ডের এক গবেষণা সংস্থা। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের ‘টেকঅ্যাওয়ে’ খাবারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে পিৎজা। আর পাকিস্তানে ‘টেকঅ্যাওয়ে’ হিসেবে সবচেয়ে বেশি অর্ডার দেওয়া হয়েছে ভারতীয় খাবার।
লকডাউনে আটকে থাকা সারা পৃথিবীর মানুষের অর্ডার করা খাবারের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান চালিয়েছে ইংল্যান্ডের সংস্থাটি। দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের মানুষই যখন বাড়িতে খাবার অর্ডার করেছেন, বা রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে বাড়িতে গিয়ে খেয়েছেন, তাদের প্রথম পছন্দ পিৎজা। ‘টেকঅ্যাওয়ে’ হিসেবে এই ইতালিয়ান পদটি সব দেশেই সমান জনপ্রিয়। এমনকি ভারতেও অর্ডার করা খাবারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে পিৎজা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভূটানেও তাই। শুধু ব্যতিক্রম পাকিস্তান। সে দেশে বাড়িতে অর্ডার করা খাবারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ভারতীয় খাবার। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থাটি।
এই তালিকায় পিৎজার পরেই রয়েছে চীনের খাবার, তারপরেই জাপানের সুশি। তালিকার ছয় নম্বরে রয়েছে ভারতীয় খাবারের নাম। পরিসংখ্যান বলছে, সব চেয়ে বেশি ভারতীয় খাবারের অর্ডার করেছেন পাকিস্তানের মানুষ। তার পরেই রয়েছেন নেদারল্যান্ডস এবং ইসরায়েলের মানুষ। মজার কথা, ভারতীয় খাবার ভারতে প্রায় অর্ডার করাই হয়নি।
আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় চীনা খাবার। এ ছাড়াও মেক্সিকো, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াতেও চীনের খাবার বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।