ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ১১ দিন ধরে অবস্থান করায় মেয়ের বাবা ক্ষোভে প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। এতে হয়রানির শিকার প্রেমিকের বাড়ির স্বজনরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে।
স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর আগে পাবরাইল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। সম্প্রতি বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে ওই ছাত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হন মেয়েটির বাবা। সেই ক্ষোভে প্রেমিক শহিদুল ইসলাম, তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীসহ চারজনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন মেয়ের বাবা।
ওই ছাত্রী জানায়, ভালোবেসে মনের মানুষকে বিয়ে করতেই আমি এ বাড়িতে নিজেই চলে এসেছি। এখন বাবা না বুঝেই আমার হবু স্বামীসহ তার বড়-ভাই ভাবির নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে বাবার বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দেবে বলে জানায় মেয়েটি।
ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক শহিদুল ইসলাম গাঢাকা দিয়েছেন।
তবে তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, বিয়ের দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে ওঠেছে ওই ছাত্রী। আমরা তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে অনুরোধ করছি। কিন্তু সে যাচ্ছে না। অথচ কোনো এক প্রভাবশালী নেতার পরামর্শে আমাদের নামে অপহরণ মামলা করেছেন মেয়ের বাবা। এতে আমরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছি। তিনি এ সময় দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শেখ রাসেল মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।