সুন্দর পিচাই। নামটিই এখন একটি প্রতিষ্ঠানের মতো। শূন্য হাতে শুরু করেই হয়েছেন মাল্টিমিলিয়নিয়ার। তিনি আর কেউ নন, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মালিক প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। সেলিব্রিটি নেট ওর্থের হিসাবে ভারতের মধ্যবিক্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এ প্রযুক্তিবিদের সম্পদের পরিমাণ ৬০ কোটি মার্কিন ডলার।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গুগলে চাকরির জন্য সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন। ওইদিন গুগল বিনা মূল্যের মেইল সেবা জিমেইল চালু করেছিল। গুগলে চাকরি হয়ে যায় সুন্দরের। গুগল ক্রোম ও ওস বিভাগের পণ্য ব্যবস্থাপনা দলের নেতৃত্ব দিতে যোগ দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তিনি গুগল ড্রাইভ, জিমেইল ও ম্যাপস সেবার দায়িত্বে ছিলেন।
ধীরে ধীরে পরিচিত হন গুগলের করপোরেট সংস্কৃতির সঙ্গে। নতুন নতুন ধারণা দিয়ে গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। সহকর্মীদের পেছনে ফেলে তরতর করে উঠতে থাকেন ওপরের পদে। ২০১৫ সালের আগস্টে তিনি গুগলের সিইও পদে অধিষ্ঠিত হন। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছেন। তার মূল বেতন বার্ষিক ২০ লাখ ডলার। এর পাশাপাশি তিনি বোনাস ও স্টক লভ্যাংশ পান।
১৯৭২ সালের ১২ জুলাই খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম সুন্দরের। তার জন্মের আগে মা স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। বাবা রঘুনাথ পিচাই ছিলেন একটি কারখানার বিদ্যুৎ মিস্ত্রি। চেন্নাইতে শৈশব কাটানো সুন্দর ছোট্ট বয়স থেকেই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন এবং বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তিবিদ হিসেবে ক্যারিয়ারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন।
যদিও ছোটবেলায় তাদের বাড়িতে কোনো টিভি ছিল না। ছিল না কোনো প্রযুক্তির ছোঁয়া। তিনি একবার বলেছিলেন, ভারতে বেড়ে ওঠার সময় আমার কম্পিউটার কিংবা ফোন ব্যবহারের খুব বেশি সুযোগ ছিল না। ফোন করার জন্য এলাকার একটি ফোন ব্যবহার করতে আমাকে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হতো।