তীব্র শীতে কাকডাকা ভোরে জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে বেচাকেনা জমজমাট যমুনা পাড়ের আরিচা ঘাটের মাছের আড়ত। দাম কম হলেও পদ্মা-যমুনায় বড় বড় মাছ ধরে খুশি জেলেরা। বড় বড় মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে পেয়ে ভিড় করছেন সাধারণ ভোক্তারা। আর এখন থেকে মাছ কিনে লাভবান হচ্ছেন রাজধারীসহ জেলার পাইকাররা। তবু সমস্যার শেষ নেই আড়তটিতে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
আরিচা ঘাটে সকালে প্রতি কেজি মাছের পাইকারি দর:
শোল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কই ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, শিং ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মিগেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, রুই ১২০ থেকে ১৩০টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগার ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বড় আইড় ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, ইলিশ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, বোয়াল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
কনকনে শীতে ভোরেই জেলে ও পাইকারদের হাকডাকে সরগরম মানিকগঞ্জের যমুনা পাড়ের ঐতিহ্যবাহী আরিচা ঘাটের মাছের আড়ত। পদ্মা-যমুনা, ইছামতিসহ জলাশয়ের দেশীয় শোল, বোয়াল, আইড়, বাগার, ইলিশ, মিগেলসহ নানা প্রজাতির মাছের সরবরাহ রয়েছে বেশ। দাম কম পেলেও জালে মাছ ধরা পড়ায় খুশি জেলেরা। নদীর মাছ আড়তে আসায় ভিড় করছেন ক্রেতারাও।
এ আড়ত থেকে মাছ কম দামে কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান পাইকাররা।
২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিবালয়ের আরিচা ঘাটের এ মাছের আড়তে পানি নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন মানিকগঞ্জে শিবালয়ে আরিচা ঘাটের মৎস্য আড়ত কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. ইজ্জ্বত আলী।
যমুনা পাড়ের পুরনো এ মাছের আড়তে অর্ধশতাধিক আড়তদার এবং রাজধানীসহ জেলার ৩ শতাধিক পাইকার এখানে আসেন। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।