ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণায় অভিজ্ঞদের পাশপাশি সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সও বিবেচনায় এনে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার তাগিদ টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়ের। তার মতে, এটা টেস্টে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বাড়ানোর বড় সুযোগ। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে না ভেবে নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে আরও কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন দুর্জয়।
৩১৩ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন নিয়ে যতোটা না রোমাঞ্চ, আগ্রহ তার চেয়ে কোনো অংশই কম নয় স্কোয়াডের ধরন নিয়ে। বিশেষ করে সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে শরিফুল-নাঈম শেখ-হাসান মাহমুদের আগুন ঝড়া পারফর্মেন্স, মধুর সমস্যায় ফেলেছে নান্নু-বাশারের নির্বাচক প্যানেলকে।
প্রত্যাবর্তনের ক্রিকেটে শুরু থেকেই লক্ষ্য হওয়া উচিত ২০২৩ বিশ্বকাপ। অটোচয়েসের ফর্মুলাকেও বলা উচিত গুডবাই। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আর বর্তমান পরিচালক দুর্জয়ের ভাবনাটাও তেমনটাই।
বিসিবি পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, আমরা সব সময় চাই যে আমাদের পাইপ লাইনটা শক্তিশালী থাকুক। কারণ আমাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়ার একসঙ্গে খেলা শুরু করেছে আবার শেষ করার বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে তারা। আমাদের তো এটা কাভার করতে হবে যদিও এটা কঠিন হবে। কিন্তু সেই সুবিধাগুলো আমাদের সরবরাহ করতে হবে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে হওয়ায় রঙ্গিন পোষাকের তুলনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে দুই ম্যাচের সাদা পোশাকের সিরিজটি। ঘরের মাঠে থাকছে রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, এখন টেষ্ট সিরিজগুলো হলে উন্নতি করার একটা সুযোগ থাকবে।
তবে আছে সাবধানী বার্তা। তুলনামূলক খর্বশক্তির উইন্ডিজদের হালকাভাবে নিলে ঘটতে পারে বিপর্যয়। তাইতো মাঠের পারফর্মেন্স দেখাতে হবে পুরোদস্তুর মুন্সিয়ানা। কে ফেভারিট সে ফর্মুলায় না গিয়ে, নিজেদের সামর্থ্যেই রাখতে হবে ভরসা।
তিনি আরও বলেন, ফেবারিট ও নন ফেবারিট বিষয় না, খেলাটা আমাদের জন্য সহজ হবে না।
সেই সঙ্গে উইকেট নিয়ে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে স্পিনিং সহায়ক পিচ করারও পরামর্শ দুর্জয়ের।