আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এবং সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল নগরীর বটতলা আদম আলী হাজীর গলিতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বাসায় তার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে খাবার টেবিলে পরস্পরের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের খোঁজ না নেওয়া এবং ফোন না ধরার অভিযোগ করা হয়। সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে আলাপকালে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সময় নিউজকে বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ফারুককে বিজয়ী করার জন্য আমিসহ দলের নেতাকর্মীরা অনেক কাজ করেছি। এত কষ্ট করলাম কিন্তু তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে এখন হাই হ্যালোটুকু পর্যন্ত করেন না। তাদের খবরও নেন না। এসব বিষয় নিয়ে কর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করেন। আর এসব কারণেই আওয়ামী লীগের সভাপতিরমণ্ডলীর সদস্যকে কাছে পেয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করি। তবে এসব বিষয় নিয়ে বাইরে কোথাও কথা বলিনি। দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের কাছে আমাদের অভিমানের কথা বলেছি মাত্র।
সিটি মেয়রের অভিযোগ প্রসঙ্গে সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর মেয়রের বাসায় গিয়েছি। নানা প্রয়োজনে মেয়রকে ফোন করেছি, কিন্তু তিনি আমার ফোন ধরেননি। এ কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। করোনাকালেও সাধ্যমতো নেতার্মীদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছি।
দুই নেতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে বরিশালে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে নানকের ঘনিষ্ঠ সহোচর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন সিকদার জানান, তিনি (নানক) বরিশালের অভ্যন্তরীন রাজনীতি নিয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন না।
নানকের মায়ের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া-মোনাজাতে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর, আইনজীবী সমিতির সভাপতি আফজালুল করিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ বিভিন্ন দলমত ও শ্রেনী-পেশার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।