২০০৪ সালে যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন, বিশ্বের সবচেয়ে দামি কিশোর ফুটবলারে পরিণত হন। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক ম্যাচেই করেন হ্যাটট্রিক।
এরপর কত বেলা কেটে গেল! নানা রেকর্ডে ওয়েইন রুনির ক্যারিয়ারটা ঝলমলে। এবার বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনিও।
পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি ওয়েইন রুনি। যোগ দিচ্ছেন ডার্বি কাউন্টির স্থায়ী কোচ হিসেবে।
এতদিন ক্লাবটির ফুটবলারের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন ইংলিশ তারকা। এবার ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাকে স্থায়ীভাবে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে নিজের পরবর্তী পেশার স্বার্থে ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন রুনি।
ক্যারিয়ারটা নানা কীর্তিতে রঙিন। ৫৩ গোল নিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। একইভাবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা রুনি। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ম্যানইউ’র হয়ে ২৫০ গোল করার রেকর্ডটি তার দখলে।
ফুটবলার হিসেবে যেমন কীর্তিমান ছিলেন, তেমনি দলকেও জিতিয়ে দিয়েছেন বহু ট্রফি। ম্যান ইউনাইটেডে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ১৬টি মেজর ট্রফি। এরমধ্যে ৫ টি ইপিএল, ১টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ, ইউরোপা লিগ জিতেছেন। উঁচিয়ে ধরেছেন ৩টি লিগ কাপের শিরোপা।
রেড ডেভিল শিবির ছাড়ার পর খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে ডি সি ইউনাইটেডের হয়ে। এরপর আবারও ফেরেন দেশে। যোগ দেন ডার্বি কাউন্টিতে। একইসঙ্গে বনে যান ফুটবলার এবং কোচ।
ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে ৯ ম্যাচের ৩টিতে জয়ের পাশাপাশি ৪ ম্যাচে ড্র করে তার দল। ফলে তাকে পূর্ণাঙ্গ কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার ক্লাব।
ডার্বি কাউন্টির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন পিয়ার্সে জানান, ওয়েইন রুনিকে আমাদের কোচ হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। সম্প্রতি তার অধীনে দল বেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৯ ম্যাচের ৫টিতে আমরা ক্লিনশিট ছিলাম। আমরা সেটি ধরে রাখতে চাই।
রুনিও সন্তুষ্ট নতুন দায়িত্বে। তিনি বলেন, অন্যান্য প্রস্তাব থাকার পরও আমার কাছে মনে হয়েছে ডার্বি কাউন্টি আমার উপযুক্ত জায়গা। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির উন্নতির জন্য নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দেব।
এর আগে ডার্বি কাউন্টির কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন আরেক ইংলিশ কিংবদন্তি ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, যিনি বর্তমানে চেলসির কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।