দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।
পৌরসভায় ভোটগ্রহণ ঘিরে দেশের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বিঘ্নে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে জোরদার করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।
পৌর নির্বাচন ঘিরে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতের সংঘর্ষের পর মোংলার বন্দর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণায় নামেন আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকরা। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে বাকবিতণ্ডা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে নারীসহ আহত ৮ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে কিশোরগঞ্জে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো কুলিয়ারচর পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি কাজ করবে বিজিবিও।
দিনাজপুরেও দ্বিতীয় ধাপে ৩টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এজন্য শুক্রবার (১৫ জানুয়রি) সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ইভিএম মেশিন ও বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে বীরগঞ্জে ইভিএম এবং সদর ও বিরামপুরে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।
এছাড়া নোয়াখালীসহ কয়েকটি পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে সিল, ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স ও অমোচনীয় কালিসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম এবং ইভিএম মেশিন বিতরণ করা হয়।
পাশাপাশি ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন রাখতে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর বিপুল সদস্য।