আগে দর্শনদারি পরে গুণবিচারি, সেই দর্শনেই যদি থাকে মস্ত বড় ভুল, তাহলে পর্যটক যাবে কোথায়। বলছি, দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোর পরিচিতি নিয়ে প্রকাশিত পুস্তিকায় অমার্জনীয় সব ভুলের কথা। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। যদিও এমন কাণ্ডের পুরো দায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপাচ্ছে ট্যুরিজম বোর্ড।
যদি আপনি অবসর কাটাতে যান সিলেটের পান্থুমাই ঝরনা কিংবা বিছনাকান্দিতে, আবার মন চাইল জাফলং যেতে। এ জন্য আপনার সামনে গাইড হিসেবে এল পর্যটন বোর্ডের সদ্য প্রকাশিত একটি পুস্তিকা, যা আপনাকে শুরুতেই নিয়ে যাবে ভুলের রাজ্যে। যেখানে পান্থুমাই ঝরনার ছবি দিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে বিছনাকান্দি। একই ছবির ক্যাপশনে আবার দেওয়া হয়েছে জাফলংয়ের পরিচিতি। আমিয়াখুমের ঝরনার ছবি দিয়ে ক্যাপশনে বলা হচ্ছে নাফাকুম জলপ্রপাত।
বান্দরবানের নীলগিরির যে কখন খাগড়াছড়ি হলো, তা নিয়ে পড়তে হবে দ্বিধায়। আবার হামহাম জলপ্রপাতের রাস্তাকে বলা হয়েছে লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট। সবচেয়ে বেশি পর্যটকের গন্তব্য সেইন্টমার্টিনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে মহেশখালী হিসেবে।
এক নারী পর্যটক জানান, আমরা আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করছি। এক্ষেত্রে আমরা যদি ভুল করি, তাহলে সবাই যেভাবে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে সেভাবে আমরা করতে পারব না।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় ‘গাঁজা’ চাষ!
মুদ্রণের ভুলেই তৈরি হয়েছে এ সংকট, এমন সাফাই গেয়ে ট্যুরিজম বোর্ড বলছে, পুস্তিকা সংশোধনে খরচ পড়বে ৬৬ লাখ টাকা, পুরোটাই দেবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি।
ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জাবের আহমেদ বলেন, মাত্র পাঁচটা-কিংবা ছয়টা কন্টেন্টে গণ্ডগোল হয়েছে। এটা প্রেস কর্মচারীদের ভুলে হয়েছে। তাদের আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহাবুব আলী বলেন, বিষয়টি আমরা দেখব। এরই মধ্যে সংশোধনী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দরপত্রের মাধ্যমে পুস্তিকাটি প্রকাশের কাজ পায় গুডলাক প্রিন্টার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ছাপানোর পর যাচাই-বাছাই ছাড়াই যা বিতরণ শুরু করে ট্যুরিজম বোর্ড।