দেশের অভ্যন্তরীণ দেশীয় কাপড়ের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ পূরণ করে থাকে নরসিংদীর টেক্সটাইল মিলগুলো। কিন্তু বন্ডের অপব্যবহার, তুলা ও সুতার মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে দেশীয় এই বস্ত্রশিল্প। এছাড়া সরকারের দেওয়া প্রণোদনাও সঠিকভাবে বণ্টন হয়নি বলে অভিযোগ শিল্প মালিকদের।
গতবছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে নরসিংদীর সকল বস্ত্রকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জুন মাসে সরকারি সিদ্ধান্তে সীমিত পরিসরে চালু হয় কারখানাগুলো। করোনার সেই ধাক্কা কাটিয়ে বস্ত্রশিল্পে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করে এবং দেশীয় কাপড়ের চাহিদা ভাল থাকায় লাভের মুখ দেখতে শুরু করে শিল্পমালিকরা। কিন্তু সম্প্রতি আকস্মিকভাবে তুলা ও সুতার মূল্য বৃদ্ধি, সেই সাথে বন্ডের অপব্যবহার করে বিদেশি কাপড় দেশীয় বাজারে বিক্রি করার কারণে বিপাকে পড়েছেন টেক্সটাইল মালিকরা। এই অবস্থায় অনেকেই কারখানা চালু করেও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা হলেও এই জেলার টেক্সটাইল, ডাইংসহ দেশীয় বস্ত্রশিল্পের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো এই সুবিধার আওতায় আসেনি। এছাড়া বন্ডের মাধ্যমে বিদেশি কাপড়ের আমদানিতে কাস্টমসের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
চৌয়ালা টেক্সটাইল শিল্পমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নান্নু আলী খান আলাদা প্রণোদনার দাবি জানিয়ে বলেন, দেশীয় শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে আলাদা প্রণোদনা দিতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের তাঁতীদের প্রণোদনা না দিলে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।
বস্ত্রশিল্প সমৃদ্ধ এই জেলায় ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে।