রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চারদিকে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সহপাঠীকে হারিয়ে শোকে কাতর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এ ধর্ষণ ও মর্মান্তিক হত্যা নাড়া দিয়েছে সমাজের বিবেককে। যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
তবে যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের মত ঘটনা দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই ঘটে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করতে হয়। নানা অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
নিজের এমন অভিজ্ঞতার আলোকে সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা। তার স্ট্যাটাসে নারীর ওপর সহিংসতার দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) দেওয়া আবিদা সুলতানার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
"রাতে একজন মায়ের অনুভূতি কেমন হয়, যদি আদরের সন্তানকে অন্যের লালসার বলি হতে দেখতে হয়!! মানুষের ভিতরে কেন এমন পশুর প্রবৃত্তি? কেন এত যৌন কাম? এর শেষ কোথায়?
আরও পড়ুন: আনুশকা ধর্ষণ-হত্যা মামলায় আদালতের নির্দেশনা
পঞ্চান্ন/ষাট বছরের প্রবীণ, হাড্ডী কঙ্কালসার পনের ষোল বছরের প্রতিবন্ধীকে তখন ধর্ষণ করে তখন তাকে কী বলা যায়???
আবার এমন আচরণের জন অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। বক্তব্য.. আমার ভাতিজিকে আমি তো একটু আদর করতেই পারি!!!!
আহ্ !!! কী আজব!!
মায়ের চোখের অঝোর শ্রাবণ আমাকে আহত করে!! কী করব?? কয়জন মাকে স্বস্তি দিতে পারি আমরা?
কী ছেলে, কী মেয়ে .. কখন কীভাবে কার লালসার শিকার হবে বোঝা কি সম্ভব?
রক্তাক্ত ছোট্ট ছেলেটিকে দেখে কী মা প্রথমে বুঝতে পেরেছিলেন যে তারই সহপাঠী বড় ক্লাসের ছেলেটির শিকার হতে হবে তার সন্তানকে এমন করে??
এমন অসুস্থতা কেন মানুষের মধ্যে?? এই অসভ্যতার শেষ কী করে হবে?"
আরও পড়ুন- ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নয়, একান্তে সময় কাটাতে বাসায় ডেকেছিল: দিহানের মা