দেশের ফুটবলের জন্য পূর্বাচলে আধুনিক সুযোগ সুবিধার একটি স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা বাফুফের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ফুটবল ফেডারেশনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে সভায় বসবে অভিভাবক সংস্থাটি। এছাড়াও কমলাপুর স্টেডিয়ামে বাফুফের একাডেমি ছাড়াও নতুন ফুটবলার তৈরিতে নেয়া পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হবে সভায়। কমলাপুর স্টেডিয়ামে একাডেমির আধুনিকীকরণের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সুযোগ সুবিধা চাইবে বাফুফে। সময় সংবাদকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক।
রাজধানীর পূর্বাচল। সবুজে ঘেরা প্রকৃতির অপরূপ সমারোহ। এখানে ক্রিকেটের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা স্টেডিয়াম। এবার ফুটবলের জন্যও আলাদা একটি স্টেডিয়ামের স্বপ্ন দেখছে বাফুফে। পূর্বাচলকেই ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। স্টেডিয়াম নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে ধরবে বাফুফে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলেই হবে শুরু হবে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরবর্তী ধাপ। এ জন্য বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে সভায় বসবে বাফুফে।
বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক বলেন, 'পূর্বাচলে এরইমধ্যে ক্রিকেটের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে। আমাদের ইচ্ছে সেখানে যদি ফুটবলের জন্যও আধুনিক সুযোগ সুবিধার একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা যায়। তবে, পুরো এলাকায় একটা ভিন্ন আবহ তৈরি হবে। পাশাপাশি জায়গায় সবাই ক্রিকেট ও ফুটবল দেখার সুযোগ পাবে। আমরা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা বৃহস্পতিবার তুলে ধরবো। সেখানে অনুমোদন পেলে পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে।'
রাজধানীর কমলাপুরে চলছে একাডেমি নির্মাণের কাজ। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলকে রাখা হবে এখানে। তবে, এর জন্য চাই অর্থ। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে একাডেমির জন্য সহায়তা চাইবে বাফুফে। সে সঙ্গে পরিকল্পনায় আছে বিকেএসপিতে আলাদা একটি ভবন নিয়ে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণের।
আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক আরও জানান, কমলাপুরে একাডেমির জন্য সংস্কার কাজ চলছে। তবে, এর জন্য চাই প্রচুর অর্থ। আমরা মন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো তুলে ধরবো। আশা করছি তিনি আমাদের একাডেমির জন্য সব ব্যবস্থা করে দিবেন।
একাডেমিকে কেন্দ্র করে জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ইচ্ছে আছে সেখানে দুই ধাপে প্রকল্পের কাজ শুরু করার। প্রথম ধাপে অনূর্ধ্ব ২০ বছর বয়সী ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করা হবে। পরের ধাপে সুযোগ দেয়া হবে দশ থেকে ১২ বছর বয়সী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ। এখানে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, তাদের সুফল পেতে দশ থেকে বার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চের মধ্যে কমলাপুর স্টেডিয়ামে ঠিকানা গড়তে পারবে ফুটবলাররা।