কয়েক মাস পরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়ে তুঙ্গে ভারতের রাজনীতি। যে কোনো প্রকারেই হোক বিধান সভায় কর্তৃত্ব করতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে বসে নেই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) সাম্প্রতিক সময়ে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার পর মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নজর এখন পশ্চিমবঙ্গের দিকে এটা উনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। তারই প্রতিফলন দেখা গেল রোববার (৩ জানুয়ারি) সকালে। এদিনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি হুগলির ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে করেছেন।
সকালেই ফুরফুরায় হাজির হন মিম প্রধান। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির পশ্চিমবঙ্গে এসে বৈঠক করার খবর সামনে আসতেই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে যায় হইচই। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের দল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী। ফুরফুরা শরীফ পৌঁছে ঘুরে দেখেন মিম সুপ্রিমো সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তারপরই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে যোগ দেন তিনি। অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ ২৪ ঘণ্টা জানাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়েই সম্ভবত দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি নিজেই জানান, নির্বাচন ঘিরে বাংলায় কাজ শুরু করে দিয়েছে দল। আসন্ন নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বেই বাংলায় লড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আসাদউদ্দিন বলেন, ‘‘বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বেই এগিয়ে যাব আমরা। ওর পাশে থাকব আমরা। উনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাকেই সমর্থন করব।’’
এদিকে মিম প্রধানের বৈঠক প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম জি নিউজ ২৪ ঘণ্টাকে জানান, 'বাস্তব অবস্থা ভোটের আগের সবাই চেষ্টা করছেন। আমাদের রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। তার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে অনেকেই মনে করছেন ধর্মভিত্তিক ঐক্য যাতে গড়ে তোলা যায়। সেটা রাজ্যের পরিপন্থী হবে। তাই আমরা বাম গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ সব শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা করছি। মিমকে ব্যবহার করে বিজেপি এই রাজ্যে শক্তিশালী হতে চাইছে। কিন্তু ওরা শক্তিশালী হলে ফুরফুরাতে দৌড়াতে হতো না।
সূত্র: জি নিউজ ২৪ ঘণ্টা/আনন্দবাজার