নতুন বছরে আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচি থাকবে নারীদের ফুটবলে। র্যাংকিংয়ে ফেরাতে ফিফা উইন্ডোতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বাফুফের। এরইমধ্যে ৯টি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের আগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জানিয়েছেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আকতার কিরণ। এছাড়াও এ বছর সাফ ও এএফসি কাপে ব্যস্ত থাকবে নারীরা। ঘরোয়া ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগের পাশাপাশি হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন আসর।
এসেছে নতুন বছর। নতুন বছরে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে নারী ফুটবলারদের। গেল কয়েক বছরে ছেলেদের ফুটবলের তুলনায় দ্রুত এগিয়েছে নারীদের ফুটবল। সাবিনা, তহুরা, মারিয়ারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বয়সভিত্তিক নানা আসরে গর্বিত করেছেন পুরো জাতিকে। কিন্তু বিষে ভরা ২০২০ হানা দিয়েছে নারী ফুটবলেও।
করোনা হানা দেওয়ার আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে নারীরা। ২০১৯ সালের সাফে নেপালে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১৮ বাইরে থাকলেও র্যাংকিংয়ের বাইরে চলে যায় কোন দেশ। ছোটনের দলের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। র্যাংকিংয়ে ফেরাতে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বাফুফের। এছাড়াও বছরজুরেই আছে ব্যস্ত সূচি।
বাফুফের নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আকতার কিরণ বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিফা উইন্ডোতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে চাই আমরা। ৯টি দেশে চিঠি পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যারা আসতে চাইবে। তাদের নিয়েই হবে ম্যাচ। এ আসর দিয়ে আশা করছি র্যাংকিয়ে ফিরতে পারবে মেয়েরা।আগস্ট সেপ্টেম্বরে বয়স ভিত্তিক সাফ ও এএফসি কাপের বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট হবে। এতে করে ছন্দে ফেরার সুযোগ হবে ফুটবলারদের।
ঘরোয়া ফুটবলেও এবার থাকবে নানা আয়োজন। আগস্ট সেপ্টেম্বরে এএফসি ও সাফের খেলা থাকায়, মার্চে হবে নারীদের লিগ। গেল বছর দায়সারা লিগ হলেও, এবার আর পথে হাঁটবে না বাফুফে। থাকবে পেশাদারিত্বের ছোয়া। এছাড়াও এবার আয়োজন করা নারীদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপও।
মাহফুজা আকতার কিরণ আরও বলেন, গেল বছর করোনার কারণে আমরা কোনরকমে লিগ আয়োজন করেছি। এতে করে আসরে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের খেলায় বেশ পার্থক্য দেখা গেছে। তবে, এবার আর তেমনটা হবে না। এরইমধ্যে আমরা তিন চারটা কর্পোরেট হাউজের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়াও এ বছর হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ।
জেএফএ কাপ, ইউনিসেফ অনূর্ধ্ব ১২'র মত আসরগুলোও হবে এবছর।