মীম, পুরো নাম ফারিহা আক্তার। বার্সেলোনায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফাইজার-বায়োনএনটেকের করোনা টিকা নিয়েছেন তিনি।
১৯ বছর বয়সী মীম ২০০৮ সাল থেকে পরিবারের সাথে স্পেনের পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বসবাস করছেন। তিনি পৈত্রিকসুত্রে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। বাবা আবদুল কাদির এবং মা জেসমিন বেগমসহ ছোট দুই ভাই রয়েছে মীমের।
বাংলাদেশ থেকে আসার পর বাবা-মা’র উৎসাহ এবং নিজ আগ্রহে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন বার্সেলোনার ইনস্টিটিউট মিকেল তারাদেই-এ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরি করছেন হসপিটাল রেসিড্যান্সিয়া এল মিলেনারিতে।
স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে ২৭ ডিসেম্বর স্পেনে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম ধাপের কয়েকজনের মধ্যে এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম টিকা নেওয়ার পর মীম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জানান, সামান্য ব্যথা ছাড়া অন্য কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেননি তিনি।
তিনি বলেন, আমি আনন্দিত। আমি চাই বার্সেলোনায় বসবাসরত সকলের পাশাপাশি যেন প্রত্যেক বাংলাদেশিও খুব তাড়াতাড়ি এ প্রতিষেধকটি নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি শতকরা পঞ্চাশ ভাগ লোক টিকাদান কর্মসূটির আওতায় আসলে জনসাধারণের ভয় দূর হওয়ার পাশাপাশি জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
স্পেনে ২৭ ডিসেম্বর গুয়াদালাখারার লস অলমোতে প্রথম একজন প্রবীণ এবং একজন শ্রমিকের ওপর টিকা প্রয়োগ করার পর পর্যায়ক্রমে স্পেনের বিভিন্ন শহরে টিকাদান কর্মসূটি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলবা ভের্গেস।