পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজে চীন থেকে আনা সর্ববৃহৎ ভাসমান ক্রেন তিয়ান ই বর্তমানে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য আনোয়ারা পারকি সৈকতের বহিঃনোঙরে অবস্থান করছে ক্রেনটি। হংকং হয়ে চীনে ফেরত যাবে ভাসমান ক্রেনটি। ক্রেনটি দেখতে সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ।
২০১৭ সালের পদ্মা সেতুর স্প্যান বসাতে আনা হয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান ক্রেন তিয়ান ই। ৩ বছর ৯ মাসে সেতুর ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসানো শেষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে সেটি নিয়ে আসা হয়েছে চট্টগ্রামে। মাওয়ার কতুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিয়ান ই বর্তমানে পারকি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে মাদার ভেসেলে করে ক্রেনটি হংকং হয়ে চীনে নিয়ে যাওয়া হবে। আর ইতিহাসের সাক্ষী হতে এটি দেখতে আনোয়ারা পারকি বিচে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে বিজয়ের মাসে। নতুন প্রজন্মের কাছে বিজয়ের এই মাসে বিশাল একটি উপহার পদ্মা সেতু। আর স্প্যান বসানোর কাজে ব্যবহৃত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রেনবাহী ভাসমান জাহাজটি দেখতে পেরে খুশি দেখতে আসা উৎসুক মানুষজন।
স্থানীয় একজন বলেন, পর্যটকরা এখানে এসেই আমাদের বলছে, এটার কাছে নিয়ে যেতে। তারা ইতিহাসের সাক্ষী হতে চায়, এটা কাছ থেকে দেখার মাধ্যমে।
এক পর্যটক বলেন, এই ক্রেনটি দেখা আমাদের কখন সম্ভব হতো না। কিন্তু এই পারকির বিচে আসার কারণে এটা দেখতে পেরেছি। এখন খুবই ভালো লাগছে।
চীনে তৈরি তিন হাজার ৬শ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেনটির দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা।