বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে নগর জুড়ে। বিজয়ের ৪৯ বছর উদযাপনে রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যান-সংসদ ভবন, হাতিরঝিলসহ নানা জায়গায় বসে লাল-সবুজের মিলন মেলা। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা পরিবার নিয়ে। সবার চোখে মুখেই ফুটে ওঠে দেশের প্রতি ভালোবাসা।
বিজয় বুঝি এমনই। অবাধ স্বাধীনতা। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর উল্লাস। লক্ষ্যহীন ঘুরে বেড়ানো, ছুটে চলা।
কারো কাছে বিজয়ের মানে গলা ছেড়ে গান। বন্ধুত্বের বন্ধন। আড্ডা, খুনসুটি। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মহানন্দে ভেসে চলা।
এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমাদের প্রজন্ম যদি মানুষের সেবায় নিয়োজিত না থাকি, তাহলে তো বিজয়ের মূল্যবোধটা প্রকাশ পায় না।'
বিজয়ের ৪৯ বছরের পূর্তি ছুঁয়ে গেছে নগরজীবনে। রঙিন পোশাকে মাতোয়ারা প্রতিটি প্রাণ। পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগ আর দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে শিশু সন্তানকে নিয়েও বেড়িয়ে পড়েন অনেক অভিভাবক।
বিজয় দিবসে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে আসা নারী বলেন, ‘এই বিজয় দিবসটা পেয়েছি তার পেছনে যে অনেক ইতিহাস রয়েছে সেটা বুঝানোর জন্য বাচ্চাদেরকে সাহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে আসলাম।’
আনন্দের পাশাপাশি মা-মাটি আর মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ছিল তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে।
সময় গড়িয়ে নামে সন্ধ্যা। তবু উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়ে না একবিন্দু। বিজয়ের রাতের সৌন্দর্য যেন আরো অপরূপ হয়ে ধরা দেয়। সেই সঙ্গে বাড়ে নগর মানুষের আনন্দ। বাড়ে আবেগ। দেশপ্রেম।