রোববার (১৩ ডিসেম্বর) শেষ হচ্ছে এ মৌসুমে নারীদের ফুটবল লিগ। দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এবারের পেশাদার লিগ জুড়ে ছিলো অপেশাদারিত্বের ছাপ। তবে আগামী মৌসুম থেকে পেশাদার লিগে থাকবে না কোন বৈষম্য। নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনেই দলবদল করতে হবে ক্লাবগুলোকে। বাধ্যতামূলক করা হবে ক্লাবের নিবন্ধন। জানিয়েছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আকতার কিরণ। এবারের ভুল শুধরে নেয়া হবে আগামী আসরে। নতুন মৌসুমের জন্য জানুয়ারি থেকে প্রস্তুতি শুরু করবে বাফুফে।
২০১৩ সালের পর দীর্ঘ বিরতি শেষে এ বছর মাঠে গড়িয়েছিলো নারীদের ফুটবল লিগ। তবে, বাধ সাধে করোনা ঝর। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় লিগ। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও বিরতি শেষে আবারো মাঠে গড়ায় লিগ। তবে, লিগের খেলায় ছিলনা পেশাদারিত্বের কোন ছাপ। এক ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ইউনাইটেডের জালে বল জড়ায় ১৫ বার। স্কোরবোর্ডে দেখো যায় প্রতিপক্ষ কুমিল্লার অবস্থান শূন্য।
অনেক ম্যাচেতো ফুটবলারদের চলনে বলনে ছিলই না খেলার ছাপ। পয়েন্ট টেবিলেও একই চিত্র। কিংস যেখানে ৩৬। গ্যালাকটিকো সিলেট, কুমিল্লার মত ক্লাবগুলো সেখানে ঝুলিতে পুড়েছে মাত্র চার পয়েন্ট। বেগম আনোয়ারা, উত্তরবঙ্গের অবস্থাও ছিলো করুণ। দায়সারা আয়োজনে লিগ শেষ হওয়ার আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে বসুন্ধরা কিংস।
কিন্তু দীর্ঘদিন পর হওয়া লিগ কেন এমন অপেশাদার।
বাফুফের নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'দেখুন করোনার কারণে এ বছর আমরা লিগ আয়োজন করতে পারবো তাই ভাবিনি। শেষ মুহূর্তে চেয়েছি যে করেই হোক লিগটা শেষ করবো। ক্লাবগুলোও ন্যাশনাল পুলের বাইরে মফস্বল থেকে ফুটবলার নিয়ে কোনরকমে দল গড়েছে। তাই এমনটা হয়েছে। তবে, আগামী মৌসুমে এমনটা আর হবে না।'
আগামী বছর থেকে লিগ আয়োজনে কঠোর হয়েছে বাফুফে। বাধ্যতামূলক করা হবে ক্লাব লাইসেন্স। এছাড়াও দলবদলে আরও ভাল মানের ফুটবলার নেয়ার প্রতিও ক্লাবগুলোকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ বাফুফের।
বাফুফের নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,আগামী মৌসুমে ক্লাবগুলোর জন্য লাইন্সেস বাধ্যতামূলক করা হবে। সবার জন্য একটা মানদণ্ড স্থির করে দেয়া হবে। চাইলেই দায়সারাভাবে দল গড়তে পারবে না কোন ক্লাব।'
আগামী মৌসুমের জন্য পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে বাফুফে। এরইমধ্যে তিনটি নতুন কর্পোরেট হাউস আগ্রহ দেখিয়েছে আগামী মৌসুমে দল করার জন্য।