আজ ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস। মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে পাক-হানাদার শত্রু মুক্ত হয় তৎকালীন মহাকুমা শহর চাঁদপুর।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন মুক্তিযোদ্ধা-জনতা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি মুক্তিযুদ্ধের স্মারক অঙ্গীকারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা কমিটির আয়োজনে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইয়াকুব মাস্টার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান কিরণ, মুক্তিযোদ্ধা বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদ, কবি ও ছড়াকার পিযূষ কান্তি বড়ুয়া, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের সদস্য সচিব ইয়াহিয়া কিরণ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরযোদ্ধারা যেভাবে এই দেশ হানাদারমুক্ত করেছেন, ঠিক একইভাবে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে যারা বিরোধিতা করছে, তাদেরকে এখনই রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় এই পথসভায়। সবশেষে অঙ্গীকারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধারা।
প্রসঙ্গত, ৭১ এর এই দিনে তৎকালীন মহাকুমা শহর চাঁদপুর থেকে পাক-হানাদারদের হটিয়ে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরে মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আউয়াল কিরণ চাঁদপুর থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।