বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজমের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাহমুদ রায়হান আতিক ও সাদাত রুহুল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দুলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তার করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: খালেদাকে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা রোদে বসিয়ে রাখতে বললেন ডা. জাফরুল্লাহ
জানতে চাইলে ইউল্যাবের প্রক্টর ওয়াজির এএফ আহমেদ বলেন, গ্রেফতার দুইজনসহ আরও কয়েকজন তাদের নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছিল। আমরা তাদের এসব থেকে দূরে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। বৃহস্পতিবার তারা আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে তালা লাগিয়ে দেয় এবং রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে ঢুকতে বা বের হতে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে শিক্ষার্থী কম ছিল। কয়েকজন বহিরাগতও দেখেছি। গতকাল তারা সেখানে ভাঙচুর চালায় এবং আমাদের এক কর্মীকে আহত করে। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
প্রক্টর ওয়াজির এএফ আহমেদ বলেন, তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমি জানি না। দুই শিক্ষার্থীকে আগে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের জন্য প্রক্টর হিসেবে আমি কিছুই করতে পারি না।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি, কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ‘মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগ ছিল।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয় ফি ৫০ শতাংশ মওকুফের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।