চীনের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক দ্রুতই তুলে নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, নিজের দেশের বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করে দেশের বাইরে বড় কোনো বিনিয়োগের চুক্তিতে যাবে না যুক্তরাষ্ট্র। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ধীরগতি নিয়ে সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা।
ক্যারেন কফি। কাজ করতেন ডেট্রোয়েট স্টেডিয়ামে। করোনা মহামারির কারণে মার্চ থেকে বেকার। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুনেছেন তার কথা। আমেরিকানদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন তিনি। বলেন, জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পরই শুরু হবে বেকারত্ব দূর করতে তার কর্মযজ্ঞ। তবে কংগ্রেসকে ডিসেম্বরের জন্য একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ছাড়ার আহ্বান জানান তিনি।
নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি জানি, আমেরিকানদের এখন সহায়তা প্রয়োজন। জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর থেকে আমি প্রত্যেকটা পরিবারের জন্য কাজ করবো, কথা দিচ্ছি। আশা ছাড়বেন না, আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। করোনা প্রতিরোধে গুরুত্ব দিন।’
এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, চীনের ওপর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক খুব সহজেই তুলে নেবেন না তিনি। পাশাপাশি এশিয়া আর ইউরোপের সাথে বাণিজ্য পরিচালনার জন্য নেবেন নতুন পরিকল্পনা। এদিকে, চাকরির বাজার সহসাই স্থিতিশীল না হওয়ার শঙ্কায় অর্থনীতিবিদরা।
যুকরাষ্ট্রের এক অর্থনীতিবিদ বলেন, 'চাকরির বাজার খুব ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে। যেটা এখনো হুমকি, কারণ এখনো অনেক মানুষ বেকার। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। বেকারভাতা দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সেটি যথেষ্ট নয়। নতুন সরকারের এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।'
২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে চীন যুক্তরাষ্ট্রের। শুল্কারোপ পাল্টা শুল্কারোপের যুদ্ধ চলেছে করোনার মাঝেও।