দেশে ১০টি হাসপাতালের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে করোনা দ্রুত নির্ণয়ের জন্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে অ্যান্টিজেন টেস্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনুষ্ঠানিক ভাবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় ৩ জনকে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হয়। দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করায় খুশি চিকিৎসক-রোগীরা।
হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে আসা এক রোগী ইশতিয়াক আহমেদ জানান, করোনার শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর তিন থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হতো। এরমধ্যে অনেকেই করোনার আক্রান্ত হয়ে যেত। কিন্তু এখন অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে আমরা দ্রুত ফলাফল পেয়ে যাবো।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, দেশের মধ্যে ১০টি জেলা সরকারি হাসপাতালে এ সুবিধা থাকছে, তারমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াও রয়েছে। তিনি এজন্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখন থেকে রোগীরা আধাঘণ্টার মধ্যে তাদের করোনা আছে কিনা জানতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো পিসিআর ল্যাব ছিল না। তবে এ অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এর ঘাটতি পূরণ হবে। ইতোমধ্যে তিন কর্মকর্তা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত হয়ে এসেছেন। তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখন থেকে রোগীরা আধাঘণ্টার মধ্যে তাদের করোনা আছে কিনা জানতে পারবেন। যদি কারো রির্পোট পজেটিভ হয় তখন তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া যাবে।
যে জেলাগুলোতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সেগুলো হলো- পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, পটুয়াখালী, যশোর, মাদারীপুর ও সিলেট। এর মধ্যে সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাকি জেলায় সদর হাসপাতালে এই টেস্ট করা যাবে।
গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ওই ১০ জেলায় পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অধিদপ্তরে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, এরপর অ্যান্টিজেন কিটসহ তাদের নিজ নিজ জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই সরকার করোনার র্যাপিড টেস্টের জন্য অ্যান্টিজেন কিট অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেটির অনুমোদনও দেয় সরকার। আর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময় আগে।