ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা শেষ হলেও নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণকাজ। এ অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্রুত বন্দরটির নির্মাণকাজ শুরুর দাবি জানান। আর জেলা প্রশাসন বলছে, করোনার কারণে কাজে সাময়িক ধীরগতি থাকলেও দ্রুত সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে বন্দরের নির্মাণকাজ।
দেশের অন্যতম প্রধান নৌ-বন্দর চট্টগ্রাম-মোংলা এবং পায়রা নৌ-বন্দর ছাড়াও ভারতের কলকাতার হলদিয়া থেকে নিয়মিত ছোট আকারের কার্গো জাহাজ পণ্য নিয়ে আসা যাওয়া করত আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে। ২০১১ সালে ভারত প্রথমবারের মতো এ নৌ-বন্দরটি ব্যবহার করে তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরায় ভারি বৈদ্যুতিক মালামাল পরিবহন করে। এরপর পানিপথে ভারতের একরাজ্য থেকে অন্যরাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য বন্দরটি যৌথভাবে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা শেষে চলতি বছরের জুন মাসে নৌ-বন্দরটিতে দৃশ্যমান কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শুরু হয়নি।
আশুগঞ্জ শহর শিল্প বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপতি বলেন, টার্মিনালে পুরো উদ্যোমে কাজ শুরু হলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, বিশেষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
এ অবস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দ্রুত আধুনিক নৌ-বন্দরটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানান।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি বলেন, এ কাজের জন্য যে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হয়েছে ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে তাদের প্রায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন বলছে, করোনার প্রভাবের ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, করোনার কারণে কাজটা একটু ধীর গতিতে এগুচ্ছে।
এ নৌ-বন্দরটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারত সরকার দিচ্ছে ৮৬২ কোটি টাকা।