কাতারের বিপক্ষে হারলেও, জিকোর খেলায় মুগ্ধ বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে। অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে দলের খেলায় সন্তুষ্ট এই ইংলিশ কোচ। অন্যদিকে, কাতার আরো বড় ব্যবধানে জিততে পারতো বলে মনে করেন দলটির কোচ ফেলিক্স সানচেস।
গেলো মাসে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও,বাংলাদেশের মধ্যমাঠের অবস্থা ছিলো একেবারেই নাজুক। এবারও যেনো তার ব্যতিক্রম হলো না। কাতারের বিপক্ষে আরো এলোমেলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। গোলের কোনো সুযোগ তৈরি করা তো দুরের কথা, নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিলো তপু বর্মন-ইব্রাহীমরা। কাতারের মুহুমুর্হু আক্রমণে নাস্তানাবুদ জামাল ভূঁইয়ারা।
সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের পোস্টে কাতার শট নিয়েছে ২৯ বার। যার ১৮টি নেয় প্রথমার্ধে। যেখানে গোলকিপার জিকোকে দিতে হয় অগ্নি পরীক্ষা। রীতিমত ঝড় বয়ে গেছে এই তরুণ গোলকিপারের ওপর। ম্যাচের শেষ অবধি পাঁচবার পরাস্ত হয় জিকো। তবে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি শট রুখে দেন বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষক। তাইতো জিকোর খেলায় মুগ্ধ কোচ জেমি ডে। অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে দলের খেলায় সন্তুষ্ট এই ইংলিশ কোচ।
বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বলেন, 'কাতার এশিয়ার সেরা দল। তারা চার মাস ধরে অনুশীলন করছে। আর আমরা অনুশীলন করেছি মাত্র পাঁচ সপ্তাহ। তারপরও আমি মনে করি ছেলের দারুণ খেলেছে। জিকোকে খেলিয়ে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সে চমৎকার কয়েকটি শট সেভ করেছে। তবে স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো।'
এদিকে, দলের পারফরম্যান্সে খুশি কাতারের কোচ ফেলিক্স সানচেস। যদিও আরো বড় ব্যবধানে দল জিততে পারতো বলে মনে করেন এই অভিজ্ঞ কোচ।
কাতারের কোচ ফেলিক্স সানচেস জানান, 'আমরা ৫ গোল দিয়েছি। কিন্তু আমার মনে হয় আরো বেশি গোল হতে পারতো। ফুটবলাররা সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। তবে আমরা তাদের কোনো সুযোগ দেইনি।'
এর আগে, প্রথম লেগে ঢাকায় কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিলো বাংলাদেশ। সেবার বৃষ্টিভেজা মাঠে বড় ব্যবধানে জিততে না পারলেও, এবার তাদের মুনশিয়ানা ঠিকই দেখালো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।