বর্তমান বাজারে পণ্য সরবরাহ এবং প্যাকেটজাতসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাস্টিক। পরিবেশ রক্ষায় এর ব্যবহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। দেশব্যাপী খুচরা ব্যবসায়ীদের প্লাস্টিক ব্যবহারের একটি প্রতিবেদন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রেস্তোরাঁ, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং সরবরাহ পরিষেবাগুলোকে প্রতিবেদন দিতে হবে যে তারা কী পরিমাণ একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহার করেছে। সূত্র: চায়না ডেইলি।
প্রতিবেদন বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য হয় চীনে। যদিও ব্যক্তি পর্যায়ে পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে চীন ৬ কোটি ৩০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন করে। এসব প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের হার ৩০ শতাংশ।
মূলত কিছুদিন ধরে হোম ফুড ডেলিভারি সেবা বেড়ে যাওয়ায় প্লাস্টিক থেকে সৃষ্ট নানা জটিলতা বেড়েছে দেশটিতে। এর আগে সেপ্টেম্বরে মন্ত্রণালয় জানায়, বছরের শেষের দিকে বড় শহরগুলো থেকে একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং খাওয়ার পাত্র নিষিদ্ধ করা হবে এবং একবার ব্যবহৃত স্ট্র দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করা হবে। এ ছাড়া ওই মাসেই একটি নতুন ‘কঠিন বর্জ্য আইন’ কার্যকর হয়েছিল। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাদের জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা বিধান করা হয়। নতুন আইন পুনর্ব্যবহারযোগ্য নতুন অবকাঠামো নির্মাণও বাধ্যতামূলক করে।
১৪০ কোটি নাগরিক সৃষ্ট দৈনন্দিন প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে চীন। দেশটির সবচেয়ে বড় ময়লার ভাগাড় প্রায় ১০০টি ফুটবল মাঠের সমান। এরপরও নির্ধারিত সময়ের ২৫ বছর আগেই এটি ভরে গেছে আবর্জনায়। জানুয়ারিতে, চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন বর্জ্য কমানোর জন্য পাঁচ বছরের একটি রোডম্যাপ তৈরি করে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের শেষ নাগাদ চীনের বড় শহরগুলোয় নিষিদ্ধ হবে অপচনশীল প্লাস্টিক ব্যাগ।
এ ছাড়া ২০২২ সালের মধ্যে সব নগর ও শহরে পণ্যটির ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে। এ ছাড়া ২০২০ সালের শেষ নাগাদ চীনের রেস্তোরাঁশিল্পে একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি স্ট্র নিষিদ্ধ হবে। হোটেলগুলোকে বলা হয়, ২০২২ সালের মধ্যে তাদের অবশ্যই একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পণ্য গ্রাহককে দেওয়া বন্ধ করতে হবে।