সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার বংশীকুন্ডা (দঃ) ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে উদ্ধারকৃত নবজাতকের পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিচয় নিশ্চিতের তথ্য জানান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
জানা যায়, এক বছর আগে স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর ছেলে সুমন মিয়ার (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর গুজবের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন:
গভীর রাতে সেতুর উপর মিলল ফুটফুটে নবজাতক
ওই নবজাতকের মা বলেন, সুমনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দিনের। আমার সন্তানের জন্মদাতা সুমন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন হামিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী আছিয়া খাতুন ওরফে আরতী (৫৫)। তারা জানান, আছিয়া খাতুন একজন ধাত্রী। তার মাধ্যমে ওই সন্তানটির প্রসব হয়। তার মেয়ের কোনো ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি কৌশলে নবজাতকটিকে তার মেয়ের জন্য নিয়ে আসেন। এছাড়াও তিনি এই ব্যাপারে প্রশাসন, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সুমনের বাবা তৈয়ব আলী বলেন, যেহেতু আমার ছেলে এই কাজ করেছে তাই মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সন্তানসহ ঘরে তোলা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, নবজাতকের জন্মদাতা সুমন যেহেতু বাড়িতে নেই, তাই তিনি বাড়িতে ফিরলে শনিবার ওই মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে সন্তানসহ তার স্ত্রীর মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে।