করোনার কারণে বিপাকে পড়েছে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য দোকানপাট খোলা থাকলেও আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবেও থেমে নেই করোনার মরণ ছোবল। প্রতিদিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই সঙ্গে মৃত্যুবরণও করছেন অনেকেই। তারপরও লকডাউনের তৃতীয় ধাপে জন সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই খুলে দেওয়া হয়েছে।
দোকানপাট আর রেস্টুরেন্টগুলো খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে প্রয়োজন ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই অবস্থান করায় আয় কমে গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের। এ অবস্থায় দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
এক প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, 'করোনা মহামারির কারণে ব্যবসায় মন্দা চলতেছে। যার ফলে দোকান ভাড়া, কারেন্ট বিল, আকামার ফি এবং দোকানের কর্মচারীদের বেতন কিছুই উঠছে না। নিজেদেরকে লোকসান দিতে হচ্ছে।
আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, ‘করোনার কারণে বেচা-কেনা খুবই খারাপ চলতেছে। ঠিকমতো দোকান ভাড়াও উঠছে না এবং কি আকামার টাকাও উঠছে না।’
সংকটময় এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিনামূল্যে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাস যেন এই দুর্দিনে ব্যবসায়ীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সেই দাবি করেছেন তারা।