ভারতের বিতর্কিত নতুন কৃষক আইন নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমর্থনের প্রতিবাদে কানাডার হাইকমিশনারকে তলব করেছে নয়াদিল্লি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) হাইকমিশনারের উদ্দেশে এক বিবৃতি জানায়, দিল্লিতে চলমান কৃষক বিক্ষোভ সামাল দেয়ার বিষয়ে ট্রুডোসহ দেশটির সংসদ সদস্যের মন্তব্য নয়াদিল্লি-অটোয়ার সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নয়াদিল্লি বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলে, ‘এই ধরনের সমর্থনে কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে কট্টরপন্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই হয়েছে যে ভারত সরকার নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করছি, ট্রুডো সরকার আমাদের কূটনৈতিক এবং দেশটিতে থাকা অন্যান্য কর্মকর্তাদের দ্রুত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে।’
আরো পড়ুন: মোদি সরকারের দেয়া খাবার ফিরিয়ে দিলেন কৃষকরা (ভিডিও)
গত (১ ডিসেম্বর) ভারতজুড়ে চলমান আন্দোলনে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কানাডা সবসময় অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পাশে আছে। কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ট্রুডো বলেন, ভারত থেকে কৃষকদের প্রতিবাদের যেসব খবর আসছে, তা স্বীকার না করলে আমার অনুশোচনা হবে। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। আমরা সবাই কৃষকদের পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য চিন্তিত।’
গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) থেকেই প্রতিবাদ নতুন কৃষক আইন নিয়ে বিক্ষোভ করে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা। দিল্লি চলো স্লোগানে পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ ৬টি রাজ্য থেকে দিল্লিতে জড়ো হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের প্রতিহত করতে দিল্লির আশপাশে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা সদস্যদের। এক সপ্তাহ ধরে ভারতের রাজধানী দিল্লি প্রায় অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের কৃষকেরা। বৈঠকে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। ত্রিশটিরও বেশি কৃষক সংগঠনের নেতারা এ দিন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসেন। কিন্তু সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতিতে মোকবিলায় দ্রুত কার্যকর সমাধানে না পৌঁছাতে পারলে বিপদে পড়তে পারে মোদি সরকার।