রাজধানীর স্কাউট ভবনে পাওনা অর্থের দাবিতে অবস্থান নিয়ে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ফুটবলাররা। প্রাপ্য অর্থ না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ফুটবলাররা। দিনভর আলোচনার পরও হলো না কোনো সুরাহা। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ক্লাবের দায়িত্ব নিতে নারাজ। এমন অবস্থায় বন্ধ হয়ে যাবার শঙ্কায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
যাদের এখন থাকার কথা ফুটবল মাঠে, বকেয়া পাওনার দাবিতে তারা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জাকর এমন ঘটনার সাক্ষী হল ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ফুটবলাররা। ৭ মাসের বেতনের দাবিতে রাজধানীর স্কাউট ভবনে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে শেষ চেষ্টার জন্য উপস্থিত ক্লাবের ম্যানেজারসহ সব ফুটবলাররা।
কয়েক দফা চেষ্টার পর মন্ত্রীর রুমে প্রবেশ করতে পারলেন। ঢুকেই পড়লেন তোপের মুখে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন না। সাংবাদিকদের সরিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠক শেষেও কোনো সুরাহা হলো না। ক্লাবটির দায়িত্ব নাকি মন্ত্রণালয় নিতে পারবে না। দিতে পারবে না পাওনা অর্থ। বন্ধ হবার উপক্রম ক্লাব। ফুটবলারদের আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি।
ফুটবলাররা জানান, হঠাৎ করেই জানতে পারলাম আমাদের কোন টাকা দিতে পারবে না। আমরা আমাদের ক্যারিয়ার, সংসার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
ক্লাবের বিদেশি ফুটবলাররাও আছেন শঙ্কায়। ফিফা বা এএফসির কাছে অভিযোগ দিলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মতো পড়তে হবে জরিমানার মুখে। ক্লাবটি এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের অপেক্ষায়।
ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত ক্লাবটি। সরকারের কাছে আবেদন করছি ক্লাবটিকে বাঁচান।
এমন অবস্থায় শঙ্কার মুখে মুক্তিযোদ্ধার ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ফেডারেশন কাপে অংশ নেয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঙ্গে জড়িত ক্লাবটির এমন ঘটনার দ্রুত সুরাহা চায় বাফুফেও।
এ বিষয়ে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পেশাদার লিগে তারা যেন অংশ নিতে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে বাফুফের পক্ষ থেকে।
তবে অর্থ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো দলীয় অনুশীলন করবেন না ফুটবলাররা।