যুক্তরাজ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে খোয়া যাওয়া ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি পাউন্ডের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে ব্যাংকটি। হিসাব থেকে হারিয়ে যাওয়া এই অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৭শ' কোটি টাকা।
বলা হচ্ছে, সঠিক পথে এই অর্থের কোন স্থানান্তর বা লেনদেন হয়নি; এমনকি কোথাও সঞ্চয়ও করা হয়নি। ধরেই নেয়া হচ্ছে এটা পাচার হয়ে গেছে। অর্থাৎ বিপুল এই অর্থ এখন আর অর্থনীতির স্বাভাবিক হিসাবের খাতায় নেই।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই অর্থ হারানোর বিষয়টি গত সেপ্টেম্বর প্রথম নজরে নিয়ে আসে দেশটির জাতীয় হিসাব-নিরীক্ষা কার্যালয়।
সরকারের হিসাব কমিটি বলছে, এই অর্থের খোঁজে ব্যাংকটিকে অবশ্যই আরও যত্নবান হতে হবে। কারণ, বিপুল অংকের এই অর্থ অবৈধ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হতে পারে; যার দায় সরকারের নীতি ও সরকারের কোষাগার এড়াতে পারবে না।
তবে, এটা ঠিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ হারানোর মতো ভুক্তভোগী দেশ শুধু যুক্তরাজ্যই নয়; বিশ্বের আরও অনেক দেশই এধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সরকারের চাহিদা মতো অর্থ সরবরাহের দায়িত্ব অবশ্যই ব্যাংকটির। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি সেই দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং করে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
বিবিসি বলছে, সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটির কাছে এ ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যা নেই কেনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অর্থ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেনি।
হিসাব থেকে হারিয়ে যাওয়া এই ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড দেশটির মোট ব্যাংক নোটের তিনভাগের এক ভাগ।
এ প্রসঙ্গে সরকারের ওই কমিটির প্রধান মেগ হিলার বলেন, এই অর্থ হয়তো কোথাও সরিয়ে রাখা হয়েছে যা ব্যাংকটির নজরে নাই। এমনকি কে এটা করেছে বা কেনো এই অর্থের স্থানান্তর হয়েছে সে ব্যাপারে কারও ভেতর তেমন কোন উদ্বেগও দেখা যাচ্ছে না।