স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কার্লেস টুসকেটস মনে করেন, গেল গ্রীষ্মেই লিওনেল মেসিকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটাই হতো সবচেয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
মৌসুম শুরুর আগেই ফ্রি ট্রান্সফারে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন ক্লাবটির কিংবদন্তি ফুটবলার মেসি। এক ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, নিজের ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছের কথা। সে সময় বেশ কয়েকটি ক্লাব এগিয়েও এসেছিল তাকে দলে ভেড়াতে। তবে নিজেদের আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যেও এই আর্জেন্টাইন তারকাকে ছাড়তে কোনোভাবেই রাজি হয়নি বার্সা। বরং চুক্তির মারপ্যাঁচে ফেলে তাকে আটকে রেখেছে।
এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন হোসে মারিয়া বার্তোমিউ। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তার স্থলাভিষিক্ত হন টুসকেটস। তিনি মনে করেন, ক্ষুদে জাদুকরকে ছেড়ে দেওয়াই উচিত ছিল!
স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেডিও ওয়ানকে টুসকেটস বলেন, ‘অর্থের কথা চিন্তা করে বলছি, আমি হলে গত গ্রীষ্মেই মেসিকে বিক্রি করে দিতাম। ক্লাবের যে পরিমান অর্থ তাতে বাঁচতো এবং তারা এর পরিবর্তে যাকে নিয়ে আসতো, সেটিই হতো বেশি প্রত্যাশিত।’
আরো পড়ুন:
মেসিকে নিয়ে বোমা ফাটালেন নেইমার
বিশ্বের অন্যতম দামি ফুটবলার লিওনেল মেসি। বেতন ভাতা এবং বোনাস মিলিয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফুটবলার তিনি। তাকে বহন করা বেশ কষ্টকরই হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্লাবটির জন্য।
করোনার কারণে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বার্সেলোনা। এরমধ্যে দলবদলে ফুটবলার কিনতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়েছে তাদেরকে। উপরন্তু সাবেক তারকা নেইমারকেও দলে ভেড়াতে চায় ক্লাবটি। তবে সেই আর্থিক সামর্থ্য এই মুহূর্তে নেই বলেই জানিয়েছেন টুসকেটস।
তিনি বলেন, ‘যদি নেইমার একেবারে ফ্রি’তে আসে তাহলে হয়তো এটি সম্ভব। অথবা আগামী মৌসুমে অনেক প্লেয়ারকে বিক্রি করে ওকে কিনতে হবে। অথবা আগামী প্রেসিডেন্টকে অলৌকিক কিছু করতে হবে।’
নিজের আর্থিক সংকট কাটাতে এরইমধ্যে ২য় দফায় ফুটবলারদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্সা। যদিও তিনি মনে করেন, নতুন সভাপতি সেটি পরিবর্তন করতে পারেন চাইলে।
টুসকেটস বলেন, আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে আছি তাতে প্লেয়ারদের জানুয়ারির বেতন দেওয়াও সম্ভব নয়। এটা খুবই শঙ্কার ব্যাপার। তবে আমরা আশাবাদী। প্লেয়াররা তাদের জানুয়ারির বেতন পাবে না। এটা স্থগিত করা হয়েছে, যেমনটা করা হয়েছে শিরোপা জয়ের বোনাসও।