কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং বন বিটের জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে অমানবিক হামলার শিকার হয়েছেন ৯ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বন বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রামের আওতাধীন চুনতি অভয়ারণ্যে আজিজনগর ও হারবাং নামে দুটি বন বিট রয়েছে। এ দুটি বিটের কর্মকর্তা আজহার আলী ও মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ৯ জন বনকর্মী বুধবার দুপুর ১২টার দিকে হারবাংয়ের ভিলেজারপাড়া এলাকায় বনভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়েকটি পানের বরজ উচ্ছেদ করতে যান।
এ সময় দখলে জড়িত শতাধিক লোক দা, শাবল, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বনকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। বনকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। গাছের সঙ্গে বেঁধে গণপিটুনি দিয়ে সারা শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন ৯ বনকর্মীই মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিল। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, আজিজনগর বন বিট কর্মকর্তা মো. আজহার আলী (৪০), হারবাং বন বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ (৪৫), ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট কামরুল আলম (৩৪), মো. ইউসুফ (২৯), মানিক চন্দ্র দে (৪২), ফরেস্ট গার্ড নীলিমেষ বৈরাগী (৩৭), শওকত উল্লাহ চৌধুরী (৪২) সিপিজি সদস্য করিম দাদ (৫৫) ও শফি আলম (৫৫)।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।