করোনা ও বন্যার পর শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় গতি ফিরেছে ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষার কাজে। তবে ডিপিপি জটিলতায় ২২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের কাজ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ অংশের তীর রক্ষার কাজের অগ্রগতি নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
তুরাগ নদের মোহাম্মদপুর অংশের ঢাকা উদ্যান পাড়। অন্যতম নদী দখল প্রবণ এলাকা হওয়ায় মাটির নিচ থেকে ৭৮ ফুট নির্মাণ করা হয়েছে টানা ১ কিলোমিটার এলাকায়। ঠিক এর দুই পাশে টানা তিন কিলোমিটার নদীপাড় জুড়ে করা হচ্ছে ওয়াক অন পাইল। যেখানে নিচে পানির প্রবাহ ঠিক রেখে পিলার করে তার ওপরে করা হয়েছে মজবুত ওয়াকওয়ে। যা দৃশ্যমান হয়েছে অর্ধেকেরও বেশী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, এতে নদী দখল করা প্রায় অসম্ভব হবে।
এস এস রহমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম দিপু বলেন, 'এই কিউ ওয়ালটা এত বেশি পোক্ত করে তৈরি করা হয়েছে আগামী ১০০ বছরের ভিতরে কেউ যদি ভরাট করতে চায় অথবা কেউ মাটি কেটে নিয়ে যেতে চায় তাহলে এই কিউ ওয়ালের কারণে তা করতে পারবে না।'
তীর রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ঢাকা অংশের সাড়ে চার হাজার সীমানা পিলারের মধ্যে ইতিমধ্যেই আড়াই হাজার নির্মাণ শেষ হলেও এগোয়নি আরসিসি জেটির কাজ। সিটি করপোরেশনের নিরুৎসাহের কারণে ইকো পার্ক ৬টি থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ১টিতে। আর নানা জটিলতায় নারায়ণগঞ্জ অংশে এখনও শেষ হয় নি প্রাথমিক কাজও।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ প্রান্তে সাড়ে ৩ হাজার পিলার করার কথা, তার মধ্যে ৪৩০টা পিলার এখন দৃশ্যমান। নারায়ণগঞ্জে এখন ২৫ ভাগ কাজ হয়েছে। আরও সময় লাগবে।'
নৌ প্রতিমন্ত্রী জানান, নদী রক্ষার এবারের এ কাজে কেউ বাধা দিয়ে পার পাবে না।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে নিয়ে যে স্বপ্নটা মানুষ দেখছে, আমরা এই প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।'