হঠাৎ করে রংপুর চিনিকলে আখ মাড়াই না করার সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে চাষিরা। চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের এক চিঠিতে বিশ কোটি টাকার আখ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন পনেরো হাজার চাষি। আখ মাড়াই বন্ধ হলেও মিলজোনে চাষকৃত আখ কোথায় যাবে তা নিশ্চিত করেনি করপোরেশন।
শিগগিরই আখ মাড়াইয়ের চিঠি আসবে, আবারো ঘুরবে মিলের চাকা, প্রাণ ফিরে পাবে রংপুর চিনিকল- এক বুক আশা নিয়ে বেশ কদিন ধরে পুরনো যন্ত্রপাতি ঝালিয়ে নিচ্ছিল শ্রমিকরা। এক বছরের কষ্টের ফসল আর কদিন পর মিলে তুলে দিয়ে টাকা পাওয়ার স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেছে চিনি কর্পোরেশনের আখ মাড়াই না করার সিদ্ধান্তে।
বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আখের উপর ভর করে ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন লণ্ডভণ্ড করার এই সিদ্ধান্ত চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে দাবি আখ চাষি কল্যাণ গ্রুপের।
গাইবান্ধার রংপুর চিনিকলের আখ চাষি কল্যাণ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ধলু বলেন, চরাঞ্চল এলাকা বা বন্যাকবলিত এলাকায় অন্য ফসল করলেও বন্যার কারণে ফসল থাকে না। এখন এই সময়ে এমন খবরে আমরা মর্মাহত।
রংপুর চিনিকলে আখ মাড়াই স্থগিত করে বুধবার দুপুরে চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশন চিঠি দিলেও মিলজোনের চাষ করা আখের কি হবে তার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
গাইবান্ধা রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল কবীর বলেন, সামনে যে উৎপাদন হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত দেবে। এখন আমরা কিছু জানি না এ বিষয়ে।
২০২০-২১ মাড়াই মৌসুমে রংপুর চিনিকল জোনে সাড়ে পাঁচ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করেন পনেরো হাজার চাষি। এবার উৎপাদিত ৫২ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি আখের বাজার মূল্য প্রায় বিশ কোটি টাকা।