ক্ষমতায় আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের সব নীতি বদলে ফেলতে পারেন নবনির্বাচিত প্রেসেডন্ট জো বাইডেন। এ ধারা বাহিকতায় চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে ‘ফেজ-ওয়ান’ বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করবেন। কিন্তু সবাইকে অবক করে দিয়ে বাইডেন জানালেন চুক্তি বাতিল বা পরিবর্তন না করার কথা।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে গত মাসে নানা নাটকিয়তার নির্বাচনে জয়ী হওয়া জো বাইডেন। তবে, চীনের বিষয়ে তার প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নীতি ঠিক করতে মিত্র দেশগুলোর মতামতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বাইডেন। সূত্র: ব্লুমবার্গ।
চলতি বছরের শুরুতে চীনের সঙ্গে ফেজ-ওয়ান বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে বাইডেন জানিয়েছেন, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এ চুক্তি হলেও তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে এটি বাতিলের পরিকল্পনা করছেন না।
বাইডেন বলেন, ‘আমি তাত্ক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেব না। যে শুল্ক চালু রয়েছে, তা থেকে যাবে। বিদ্বেষমূলক মনোভাব থেকে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেব না।
’এই বাণিজ্য চুক্তির চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিষয়টি নিয়ে এশিয়া ও ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করার কথাও জানা ডেমোক্রেট এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, চীনসংক্রান্ত কৌশলের বিষয়টি নিয়ে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সবারই চিন্তাভাবনা একই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রধান অগ্রাধিকারমূলক বিষয় হবে এসব দেশকে আবার এক করা।’
গত জানুয়ারিতে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি ২০ হাজার কোটি ডলার বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয় চীন। তবে চলতি বছর যে পরিমাণ পণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চীন তার মাত্র ৪৪ শতাংশই সম্পন্ন করতে পেরেছে তারা। এই ফেজ-ওয়ান বাণিজ্য চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শত শত কোটি ডলারের পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে।