মাত্র ৫০ দিন আগে লাগানো আলু খেত থেকে তোলার ধুম পড়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলোতে। সকাল থেকে শুরু হয় আলু তোলার কাজ, দুপুরের মধ্যেই বস্তাবন্দি করতে ব্যস্ত কৃষক।
আগাম আলু চাষের প্রসিদ্ধ এই এলাকার কৃষকরা ভালো দামের আশায় এবার কিছুটা আগেভাগেই তুলে ফেলছেন আলু। শুরুর কয়েক দিন জমিতেই প্রতি কেজি আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও সু-স্বাদু এই আলুর কেজি এখন নেমে গেছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। দ্রুত আলু তোলার কারণে প্রতিদিন আলুর দাম কমছে বলে জানান কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষকরা জানালেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে, বাজারও ভালো। প্রতি কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। এই দাম বজায় থাকলে লাভ ভালো হবে বলে জানান তারা। কৃষকদের আশা, বর্তমান বাজার দর থাকলে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
কিশোরগঞ্জের আলু প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে যাচ্ছে কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব আলু।
জানা গেছে, এখানকার জমি চার ফসলিতে পরিণত হয়েছে। আমন ধান কাটার পর আগাম ও মূল মৌসুমের আলু দু'বার আবাদ করছে কৃষক। এরপর হবে বোরোর আবাদ। এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, ইতোমধ্যে ২০ হেক্টর জমি হার্ভেস্ট করা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ফলন ভালো হচ্ছে। আর চার ফসলিতে পরিণত হওয়ায় মোট উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি মোট লাভও বেড়ে গেছে।
এ বছর জেলায় মোট ৭ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে কিশোরগঞ্জেই হয়েছে ৪ হাজার হেক্টরের বেশি।