এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলতে হবে রক্ষণাত্মক। সেজন্য বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে ডিফেন্ডারদের। এমনটাই জানালেন আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমস। মরুর বুকে রক্ষণভাগ সামলে প্রয়োজনে ডিফেন্ডারদের যেতে হবে কাউন্টার অ্যাটাকে। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় দলের এক সময়ের সেরা ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল।
ফুটবল মাঠে ওরা রক্ত মাংসের দেয়াল। প্রতিপক্ষের গতি রুখে দিতে ওরা চীনের প্রাচীর। মরুর বুকে বাংলার রক্ষণদূর্গের নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। তপু, বিশ্বনাথ, ইয়াসিন খান ও সুশান্ত ত্রিপুরাদের মধ্যে কারা দিতে পারবেন সামর্থ্যের পরীক্ষা?
কাতার এশিয়ার সেরা। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজকও তারা। বিশ্বকাপে ভালো করতে গেল কয়েক বছর ধরে ওরা নিয়েছে বিশ্বমানের প্রস্তুতি। দলটির বেশ কিছু ফুটবলার খেলে বিদেশী লিগে তাদের সঙ্গে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামাটা বাড়াবাড়ি। বরং ড্র করতে খেলতে হবে ডিফেন্সিভ ফুটবল। যার পুরো দায়িত্ব নিতে হবে ডিফেন্স লাইন আপের, মনে করেন আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমস।
মারিও লেমস বলেন, কাতাদের সঙ্গে আগের ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণ খেলেছে। এবারো তারা ভালো খেলবে তবে সেজন্য প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের রক্ষণ দুর্গে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। রক্ষণাত্মক কৌশলে দল সাজাতে হবে। কোন বয় পাওয়া যাবে না। তাহলেই ভালো করা সম্ভব।
দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হার সতর্ক করেছে জামাল ভূঁইয়াদের। স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গেই যেখানে হার , কাতার জাতীয় দলের বিপক্ষে তাই গুরুত্ব দিয়ে খেলতে হবে লাল সবুজদের। সেজন্য টিম ইফোর্ট ও রক্ষণভাগের ফুটবলারদের মাঝ মাঠে বলের যোগান দেয়াসহ সুযোগ পেলে যেতে হবে কাউন্টার অ্যাটাকে, বললেন জাতীয় দলের এক সময়ের সেরা ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল।
তিনি বলেন, ভালো খেলার জন্য মনোবল থাকতে হবে। মনে করতে হবে অন্য মাঠে নয় আমরা নিজেদের মাঠে খেলছি। যদি কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে পারলে আমাদের দল ভালো করতে পারবে।
রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে দলের ফরমেশন ৫-৩-২ করার পরামর্শ ফুটবল বিশ্লেষকদের। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে ঘরে ফিরলে সেটাই এনে দিবে জয়ের আনন্দের পূর্ণতা।