স্পেনের বার্সেলোনা, আলো ঝলমলে এই শহরটি গোটা ইউরোপের সবচেয়ে বড় পর্যটন নগরী।
ঐতিহাসিক নথিপত্র বলছে, নিওলিথিক সময় থেকেই মানব বসতির শুরু হলেও, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর শেষদিকে রোমানদের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় বার্সেনো উপনিবেশ। যা পরবর্তীতে রুপ নেয় ফুটবল, আর শিল্প সাহিত্যের বার্সেলোনায়।
তাবৎ দুনিয়ায় অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক স্বাধিকারের লড়াইয়ের গল্প বলতে গেলে একবাক্যে মনে আসবে কাতালুনিয়ার নাম। যার রাজধানী আজকের বার্সেলোনা শুরুতে ছিল মাত্র হাজারখানেক বাসিন্দা নিয়ে গড়ে ওঠা ঔপনিবেশ। পুরো শহর ঘেরা ছিল প্রতিরক্ষা প্রাচীর দিয়ে, যার চিহ্ন এখনও জ্বলজ্বলে।
২০০ বছরেরও বেশি সময় বার্সেলোনা ছিল মুসলিম শাসকদের অধীনে। যা খ্রিষ্টানদের হাত ধরে পরবর্তীতে পরিণত হয় ক্যারোলিং সম্রাজ্যের কাউন্টি কোর্টের প্রধান আবাসস্থলে। এতেই, মধ্যযুগীয় শাসনামলে পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় বার্সেলোনা।
টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে ১৯ শতকের মাঝামাঝিতে সাংস্কৃতিক আচার রীতি পুনরুদ্ধার শুরু হয় বার্সেলোনায়। যা পরিচিতি পায় রেনাইক্সেনিয়া নামে। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে অনেকটাই মন্দাভাব লক্ষ্য করা যায়।
তবে, আধুনিক নগরী হিসেবে বার্সেলোনা গড়ে ওঠে বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই। এই সময়ে বিখ্যাত স্থপতি আন্তোনি গৌডি তৈরি করেন কাসা মিলি, কাসা বাট্টেলা এবং সাগ্রাডা ফ্যামেলিয়া গির্জার মতো বিশ্ববিখ্যাত নকশাগুলো। যদিও পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধে বিপাকে পড়া বার্সেলোনা ১৯৭৮ সালে পুনরুদ্ধার করে গণতন্ত্র, ফিরে পায় অর্থনৈতিক শক্তি আর কাতালান ভাষা।