কুমিল্লা শহরে ছাদ থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম জান্নাতুল হাসিন (২৩)। তিনি নগরীর ধর্মসাগর পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা ইদ্রিস মেহেদীর মেয়ে।
ইদ্রিস মেহেদী জানান, সোমবার ঢাকা থেকে কুমিল্লার বাসায় আসে জান্নাতুল হাসিন। সারারাত মন খারাপ ছিল তার। বেলা দেড়টার দিকে শ্যাম্পু আনার কথা বলে বের হয়। পরে পাশের গোল্ড সিলভার হোমসের একটি ৯তলা আবাসিক ভবনের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, ছাদ থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে। তবে আত্মহত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
স্থানীয় ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর কাদের মনি বলেন, আমি আমার অফিসে বসে ছিলাম। হঠাৎ একটি আওয়াজ হয়। বেরিয়ে দেখি একটি মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল হাসান শিমুল বলেন, আমি ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ হয়, পরে চেয়ে দেখি একটি মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাবা ইদ্রিস মেহেদী জানান, এখনও বুঝতে পারছি না, কেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার তিন মেয়ে এক ছেলের মধ্যে জান্নাতুল হাসিন মেজ ছিল। সে বিবিএ শেষ করে এমবিএ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক আবদুর রহিম সুরতহাল প্রতিবেদন করেন।
পরে ঘটনাস্থলে আসেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ারুল হক।
তিনি জানান, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।