আঙ্গুলের ইনজুরির জন্য অস্ত্রোপচার করতে হবে মুমিনুল হকের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগেই তাকে পাওয়ার আশা করছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। চলমান বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে এখন পর্যন্ত নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতে পারেন নি কেউই। তবে দুই-তিন ম্যাচ দেখে কাউকে মূল্যায়ন করতে চান না প্রধান নির্বাচক। অপেক্ষা করতে চান আসরের শেষ পর্যন্ত।
মুমিনুল হকের ইনজুরি শুধু গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম না, জাতীয় দলের জন্যও বড় ধাক্কা। টেস্ট দলের নেতৃত্বের গুরু দায়িত্বটা যে তার কাঁধেই!
মুমিনুলের আঙ্গুলের চোটটা বেশ গুরুতর। করতে হবে অস্ত্রোপচার। তার জন্য বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ শেষ। তবে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মুমিনুলকে চায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। সে সিরিজের সূচি এখনো চূড়ান্ত না হলেও, জানুয়ারির মাঝামাঝি খেলা শুরু হবে বলেই, অধিনায়ককে পাওয়ার আশা প্রধান নির্বাচকের।
বিসিবি'র প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, এখনো অনেকদিন বাকি আছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে জানুয়ারিতে হবে সিরিজ। আশা করি এরমধ্যেই ও ঠিক হয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের ৮ ম্যাচ শেষ হয়েছে। দু-একজন ছাড়া নতুন কিংবা পুরনো কেউই করতে পারেনি নজরকাড়া পারফরম্যান্স। তবে আসরের এখনো বাকি অনেকগুলো ম্যাচ। তাই প্রধান নির্বাচক এত দ্রুত মূল্যায়ন করতে চান না ক্রিকেটারদের।
নান্নু বলেন, ২-৩ ম্যাচে তো আসলে কিছুই দেখা যায় না। কমপক্ষে ৭-৮টা ম্যাচ দেখি। এইটা খুব আর্লি হয়ে যায়। ওদেরকে আরেকটু সুযোগ দেয়া উচিত।
অবশ্য কেন ক্রিকেটারদেরকে সময় দিচ্ছেন তার কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক। করোনার জন্য দীর্ঘ বিরতি এবং একঘেঁয়ে বায়ো-বাবলের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছে বোর্ড।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, দেখেন, ৮ মাস ওরা ক্রিকেটের বাইরে ছিল। সঙ্গে বায়ো বাবলের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। এটা বেশ একঘেঁয়েমি তৈরি করে। সেজন্যে আমরা তাদেরকে মোমেন্টাম ফিরে পেতে একটু সময় দিতে চাই।
চলমান বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে বোর্ডের বাড়তি নজর থাকছে তরুণদের দিকে। আসরে ভালো করা ২-১ জনকে দেখা যেতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও।