রাজধানীর কাফরুলে সীমা নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার পর আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কালহের জেরে সৎ ছেলে ও তার স্ত্রী তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কাফরুল থানা থানা পুলিশ।
কাফরুলে বাইশটেকির ইমামনগর এলাকার এই বাড়িটিতেই স্বামী ও সৎ ছেলে ও ছেলের বউসহ বসবাস করতেন সীমা।
প্রতিদিনের মতো রোববার সকালেও স্বামী কাজের জন্য বের হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১ ঘন্টা পরই এলাকাবাসীর ফোনে বাসায় এসে বাসার দরজা খুলে সীমার পোড়া মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
স্বজনরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই সৎ ছেলে নাহিদের সাথে সীমার পারিবারিক কলহ চলছিলো। শনিবার রাতে বাসায় এ বিষয়ে পারিবারিক বৈঠকও হয়। তাদের ধারণা পারিবারিক বিরোধের কারণেই সৎ ছেলে নাহিদ, সীমাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, সীমাকে কুপিয়ে হত্যার করার পর তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে পলাতক নাহিদ ও তার স্ত্রী।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায়, ঘরের দুটো দরজা ভাঙা। এক রুমের ফ্যানে কিছু কাপড় জোড়া লাগিয়ে ঝুলানো ছিলো। আর অন্য রুমে খাটের উপর আগুনে পোড়া নারীকে দেখতে পাই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবো।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।