সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হানের প্রথম ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টে তার শরীরে কোনো ধরনের বিষক্রিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। নির্যাতনেই তার মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। রিপোর্টটি রায়হান হত্যা মামলার তদন্তাকারী সংস্থা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে চট্টগ্রাম থেকে এসে পৌঁছে রায়হানের ময়নাতদন্তের প্রথম ভিসেরা রিপোর্ট।
আরো পড়ুন: রায়হান হত্যায় আরও ৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
রায়হানের দুই দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। ১১ অক্টোবর প্রথম ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টে তার শরীরে কোনও ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। ১১ ও ১৫ অক্টোবর দু’দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রায়হানের শরীরে ১১১টি স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়।
গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত. রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ধরে নেওয়া হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। ১১ অক্টোবরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মারা যান রায়হান।
আরো পড়ুন: রায়হান হত্যা: আকবরের স্বীকারোক্তি
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে আহত হন রায়হান। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। বলা হয়, ফাঁড়িতে নির্যাতনে মারা গেছেন রায়হান। রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি দু'দিন পর পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পরদিন ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে নেয় এসএমপি।
আরো পড়ুন: রায়হান হত্যা: অবশেষে গ্রেফতার এসআই আকবর