চাকা ব্লাস্ট হয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় সুপারিভর্তি একটি ট্রাক সড়কের পাশের স্টিল পাতের নির্মিত রেলিং ভেঙে রেললাইনে ওপর উঠে পড়ায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা সারাদেশের সঙ্গে কুড়িগ্রামের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। রোববার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনার পর এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দুপুর দেড়টা দিকে ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়া হলে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এর ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামক আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীরা। এই ট্রেনটি রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে পরদিন ভোরে কুড়িগ্রামে পৌঁছে। এরপর সকালে কুড়িগ্রাম থেকে আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু এই দুর্ঘটনার কারণে রোববার ভোরে ট্রেনটি কুড়িগ্রাম স্টেশনে আসতে পারেনি। ট্রেনটি থামানো হয় লালমনিরহাটের তিস্তা জংশনে। সেখান থেকে যাত্রীদের সড়কপথে বিভিন্ন যানবাহনে ১৫ কিলোমিটার দূরের কুড়িগ্রামে আসতে হয়েছে। একইভাবে ঢাকাগামী যাত্রীদের সড়কপথে তিস্তায় গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়েছে। এ কারণে কুড়িগ্রাম এক্মপ্রেস রোববার সকালে তিস্তা থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আবদুল মতিন জানান, রোববার ভোর ৪টার দিকে চাকা ব্লাস্ট হওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় সুপারির বস্তাভর্তি ট্রাকটি কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের জোত গোবর্ধন এলাকায় রেলিং ভেঙে রেলওয়ে লাইনের ওপর উঠে যায়। ট্রাকটি ভোলা থেকে সুপারি নিয়ে কুড়িগ্রাম আসছিল।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের অধীন তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেলওয়ে সেকশনের পথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, অনেক চেষ্টার পর দুপুর দেড়টার দিকে রেলওয়ে লাইন থেকে ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়া হলে সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর ওই রেলপথে ট্রেন চলাচলের বাঁধা অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।