আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ গেমসে ১০ হাজার অ্যাথলিট অংশ নেয়ার কথা থাকলেও, করোনার কারণে সেই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ফেডারেশনগুলো। গেলোবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপের ফলাফলকেই প্রাধান্য দিয়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের কথা বলছে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। তবে সার্ভিসেস দলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে বাছাই প্রক্রিয়াটা কঠিন মনে করছে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন।
সবশেষ ২০১৩ সালে ২১টি ভেন্যুতে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৩৫৬ ইভেন্টে বাংলাদেশ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সাত বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে গেমসের নবম আসর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারনে পিছিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস।
তবে এবার কঠিন পরিস্থিতির কারণে, গেমসের ৩১ ডিসিপ্লিনে ইভেন্টের পাশাপাশি খেলোয়াড় সংখ্যা কমিয়ে সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের। বিশ্ব জুড়ে কোভিড নাইন্টিনের দ্বিতীয় ঢেউ বিরাজ করছে, তাই বিওএ'র এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ফেডারেশনগুলো।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, ‘বিওএর ব্যানারে আমরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব। আমরা যত্নবান এবং মোটামুটি প্রস্তুত।’ অন্যদিকে, সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বলেন, ‘অলিম্পিক আমাদের যে সহযোগিতা দিবে ওটা আমরা আমাদের মতো করে ইভেন্টটি তৈরি করব, বাংলাদেশ গেমসটি করব। আমরা সেট টাইমের মাধ্যমে ন্যাশনাল যে আঙ্গিকে ঠিক সে আঙ্গিকে বাংলাদেশ গেমসটি করব।’
এবারের আসরে ১০ হাজার অ্যাথলেট অংশ নেয়ার কথা থাকলেও,করোনার কারণে সেই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। তাহলে প্রশ্ন কোন প্রক্রিয়ায় অ্যাথলিট বাছাই করে গেমসে সুযোগ দেয়া হবে? এ ক্ষেত্রে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গেলোবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপের ফলাফলকেই প্রাধান্য দেয়ার কথা ভাবছে।
গেলোবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপের ফলাফলকেই প্রাধান্য দিয়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের প্রক্রিয়া হবে। আমরা একটা সিস্টেম ফলো করবো। মেরিট লিস্ট অনুযায়ী বাছাই করতে ফেডারেশনগুলোকে বলা হয়েছে।
গেমসের ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইভেন্ট অ্যাথলেটিক্স। তাই এই ডিসিপ্লিন থেকে খেলোয়াড় বাছাই করাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু। তারপরও সার্ভিসেস দলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে মেধাবীদের মুল্যায়ন করার কথা জানান তিনি। তার ভাষায়, ‘আমাদের যে ডিসিপ্লিন আছে, যেমন আমরা ৩৬টি ইভেন্ট করি। সেখান থেকে ইভেন্ট বাদ দেওয়া যাবে না কারণ যে সংস্থাগুলো আছে তাদের প্রতিযোগি খেলাতে চাইলে তাকে তো বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হলেও আনতে হবে।’
করোনার আঁধার কেটে ঠিক সময়ে বাংলাদেশ গেমস মাঠে গড়াবে। প্রত্যাশা ফেডারেশন কর্তাদের।